ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা নেতা হলেন আ. লীগ অফিস ভাঙচুরের আসামি

| শনিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সদ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এবং দুটি বেসরকারি পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অনেককেই এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী এক নারী কাউন্সিলরও।

জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা বাদী হয়ে গত ২২ জুলাই রাতে ৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দেড়শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে জাকি তাজওয়ার সমুদ্র নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ছিলেন তিনি। বগুড়া শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত ১৬ জুলাই রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সমুদ্র। খবর বাংলানিউজের।

আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শহর যুবলীগের রহমান নগর আঞ্চলিক কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক কাজল। তিনি শহরের বিআরটিসি শপিং কমপ্লেক্সের সভাপতি। ওই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আকরামকেও আসামি করা হয়েছে। তোফাজ্জল, তার পরিবার এবং তার শ্বশুরের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার ভাই বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলার আরেক আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী। ওই মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাওন পালকে। অথচ হামলার সময় জেলা ছাত্র ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টির কার্যালয়ও আক্রান্ত হয়। মামলায় বগুড়ার বিআইআইটি নামক বেসরকারি পলিটেকটিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন সৈকত ও আইআইটিবি’র পরিচালক সবুর শাহ লোটাসকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বগুড়া পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ৬৮ বছর বয়সী শিরিন আক্তারও রয়েছেন আসামির তালিকায়। ওই মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার ছাড়াও বিএনপিজামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ৮৭ জনের নাম আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাশিয়া-চীনের চার জঙ্গিবিমানকে যুক্তরাষ্ট্রের ধাওয়া
পরবর্তী নিবন্ধআল্লামা জিল্লুর রহমান আলী শাহের (রহ.) ওরশ আজ