ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা ১৩ পুলিশ সদস্যকে শাস্তির সুপারিশ

| মঙ্গলবার , ২৩ আগস্ট, ২০২২ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের দিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটার ঘটনায় করা তদন্ত কমিটি ১৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করেছে। খবর বিডিনিউজের। পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি ১৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ওই সুপারিশ নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদরদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বিকালে ডিআইজি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন পরিদর্শক, তিনজন এসআই, চারজন এএসআই ও চারজন নায়েক/কনস্টেবল রয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সুপারিশের বিষয়ে ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে। যার মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কম-বেশি শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরদিন ১৬ অগাস্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রথমে বরিশাল রেঞ্চে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। পরদিন ১৭ অগাস্ট আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে বরগুনা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিসির দরজা যেন সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে : হাই কোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধডি ইউনিটে উপস্থিতি ৭৪ শতাংশ