বাকলিয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন ছুরিকাহত হয়েছে। তাদের চমেক হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় রাহাত্তারপুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-ছাত্রলীগ নেতা সাজিদ, নিশাত, রকিব, ফাহিম চৌধুরী, সাব্বির আলম সোহাগ ও আতাউল্লাহ অভি। আহতদের মধ্যে সাজিদ ও নিশাতের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল আরিফ। গতকাল রাতে তিনি জানান, ‘যারা আজকে আমাদের গ্রুপের ৬জন কর্মীকে ছুরি মেরেছে তারা গত নভেম্বরের ১৪ তারিখ আমাকে দলবল নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছিল। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় মামলাও দায়ের করেছি।
আজকেও আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল বের করার জন্য প্রস্তুতি নিতে রাহাত্তারপুল এলাকায় দাঁড়িয়েছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের মনিরের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে। আমাদের কয়েকজনকে চান্দগাঁও থানা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে দৌড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহতরা সবাই চমেক হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসারধীন। সাজিদ ও নিশাতের অবস্থা গুরুতর। তাদের পেটের ভেতরে ছুরি ঢুকে গেছে। এই ব্যাপারে বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ জানান, আমরা এই ব্যাপারে মামলা করতে যাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই ঘটনার পর থেকে রাহাত্তারপুল, পূর্ব ষোলশহর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাটি বাকলিয়া ও চান্দগাঁও দুই থানার সীমানা এলাকা। আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মনির গ্রুপের সাথে তাদের বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে মনির নিজেই এই হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন।
এই ব্যাপারে বাকলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম আজাদীকে জানান, রাত্তারপুল এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে আমাদের থানা থেকে ফোর্স গিয়েছিল। ছাত্রলীগ নেতা মনির ও শাকিল গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত নভেম্বরেও এই দুই গ্রুপর একই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠিন অ্যাকশনে যাবো। তাদের কারণে এলাকার শান্ত পরিবেশ বারবার অশান্ত হচ্ছে। কয়েকদিন আগে তাদেরকে আমি ডেকেছিলাম। এরা মূলত ছাত্রলীগের মোস্তাক হোসেন লিটন এবং রাশেদ গ্রুপের ছেলে।
তিনি বলেন, তারা রাহাত্তারপুল থেকে মারামারি শুরু করে ৬নম্বর চান্দাগাঁও থানা এরিয়া পর্যন্ত গেছে। ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। হামলা মনির গ্রুপের ছেলেরা করেছে কিনা জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম জানান, দুই গ্রুপেরই ছেলে ছিল। তবে মনিরের ছেলে বেশি ছিল। এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ দিলে মামলা নেবো।