ছাত্রলীগের চবি শাখার সাবেক সহসভাপতিকে পুলিশে দিল শিবিরকর্মীরা

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সহকারী রেজিস্ট্রার আবুল মনসুর শিকদারকে ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসের মসজিদের সামনের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর শিকদার বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মরত। বিকেলে অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিবিরকর্মীরা তাঁর পথ আটকায়। পরে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং পরে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিবিরের এক নেতাকে হত্যার মামলায় আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মামলাটি দায়ের করা হয়।

বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন বলেন, বিকেল চারটার দিকে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ঘটনাটি যাচাইয়ের জন্য তিনি ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারীকে থানায় পাঠান।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘২০১৪ সালে শিবির নেতা মামুন হোসাইন হত্যার মামলার অন্যতম আসামি আবুল মনসুর শিকদার। ৫ আগস্টের পর তিনি ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করে আসছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে থানায় জমা দিয়েছে, এসময় কিছু ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে বলে শুনেছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সহরাওয়ার্দী জানান, আমানত হলের শিবির নেতা মামুন হত্যা মামলায় মনসুর শিকদারকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিবির নেতা মামুন হোসেন নিহত হন এবং আহত হন অন্তত ২০ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির মিডিয়া সেলের নামে ফেইক আইডি, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ