দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে দেশের শিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মশক্তির ওপর। তাদের মধ্যে ছাত্রদের ভূমিকা অপরিসীম। ছাত্ররা দেশ গড়ার কারিগর। ছাত্ররা যে কোনো অধিকার আদায়ে সচেষ্ট। তবে ছাত্রদের দাবি আদায় করতে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরোনো। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেই অঞ্চলের ছাত্র সমাজই প্রথম অনুধাবন করেছিলো আমাদের প্রকৃত মুক্তি হয়নি। শোষণের জাল বিস্তার করে আছে চতুর্দিকে। দেশভাগের মাত্র সাত মাসের মাথায়, ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলার ছাত্র সমাজকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে মাঠে নামতে হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছাত্রদের সরব ভূমিকা ছিল। এছাড়াও ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় বসেই তিন সামরিক শাসন জারি করেন। সেই শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে ওঠে ছাত্র সমাজ এবং গণআন্দোলনের মুখে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে পদত্যাগ করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য ছাত্র সমাজ প্রথম গর্জে ওঠে ২০১৮ সালে। কিন্তু নানা কারণে তা দমে গেলেও ২০২৪ সালের ১ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে নানা উস্কানিমূলক কথাবার্তার কারণে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে তা সরকার পদত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট সরকার পদত্যাগের মধ্য দিয়েই ছাত্র আন্দোলন সফল হয়। আর আজকের ছাত্ররা আগামীর ভবিষ্যত। তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সাবাস ছাত্র সমাজ, এগিয়ে যাও।
শিফা চোধুরী
নওয়াযিশ খান চৌধুরী বাড়ি, চট্টগ্রাম।