তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভর করে একটি মহল ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করছে। তিনি গতকাল বুধবার তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বিজয় মাসের শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী। খবর বাসসের। তিনি বলেন, ছাত্ররা হাফভাড়ার দাবিতে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফভাড়া আজকে থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ঢাকা বাস মালিক সমিতি ঘোষণা দিয়েছে আজ (গতকাল) থেকে তারাও ঢাকায় হাফভাড়া কার্যকর করবেন। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও মালিকরা একই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করবো। এরই মাঝে গত সোমবার রাতে রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় একজন ছাত্র দুঃখজনকভাবে নিহত হয়েছে, তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিন্তু এই ঘটনা বিশ্লেষণে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫মিনিটে, এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাই ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি লাইভ করা হয়, রাত ১১টায় জামাত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়, সেখান থেকে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, ঘটনাটি ১২ মিনিটেই নিরাপদ সড়ক চাই ফেসবুক পেজে কিভাবে পৌঁছালো, সেখান থেকে লাইভ করলো, বাঁশের কেল্লা ফেসবুক কিভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে খবর পেলো এবং সেখান থেকে খবর প্রচার করলো এবং ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১০-১২টি গাড়িতে আগুন দেয়া হলো। এই গাড়িগুলোতে আগুন ছাত্ররা দেয়নি। কারণ ঘটনার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই এতো ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, ছাত্ররা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে কিন্তু গাড়িতে আগুন দেয় নাই। এমনকি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে নাই। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১২ থেকে ১৫টি বাসে আগুন দেয়া হলো। এগুলো দুস্কৃতিকারিরা করেছে। এসময় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিএনপির দাবি স্বাস্থ্যগত নয় রাজনৈতিক। বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন, বিএনপিপন্থী কিছু ডাক্তারদের দিয়ে যেভাবে কথা বলিয়েছেন এসবের মধ্যেই রাজনীতি যুক্ত।
