চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ও সহকারীর ওপর রোগীর স্বজনেরা হামলা চালিয়েছেন। ছাত্রদল নেতার পরিচয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সকলে কর্ম বিরতি শুরু করেন। পরবর্তীতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হলে সকলে কাজে যোগ দেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন ডা. মো. আরিফুল ইসলাম এবং তার সহকারী ছিলেন এলএলএসএস নুরুল ইসলাম সুমন। এ সময় মোহাম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। রোগীর সঙ্গে রিমনসহ দুজন সহায়তাকারী আসেন। একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা তাদের রোগীকে আগে দেখার অনুরোধ করে এবং তারা নিজেদের নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তানবীরের লোক বলে দাবি করেন।
এ সময় ডা. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আগে আসা আরও দুজন রোগীকে সেবা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রোগীর (ইউসুফ) একজন স্বজন ডা. আরিফুল ইসলামকে নিজের মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন। এতে ডা. আরিফুল ইসলাম আহত হয়। মো. আরিফুল ইসলামকে বাঁচাতে তার সহকারী নুরুল ইসলাম সুমন এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনা হাসপাতালে জানাজানি হলে চিকিৎসকরা কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসেন।
তবে ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তানবীর ঘটনায় জড়িতদের সাথে তার কিংবা ছাত্রদলের কেউ জড়িত নয় বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ বলেন, আজকের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা যেকোনো প্রকারে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিব।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঘটনার সময় আসা রোগী মো. ইউসুফ বিকেলেই আবার ডিসচার্জ অন রিস্ক বন্ড দিয়ে (ডিইউআরবি) চলে যায় এবং রোগীর বিল বাবদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ হাজার টাকা ছাড় (ডিসকাউন্ট) দেয়।