বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে ছাত্রজনতার বিজয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্রজনতা ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার ছাত্র অন্দোলন গড়ে তুলে। হাজারো ছাত্রজনতার শাহাদাত, জেল জুুলুম, হামলা–মামলা ও অসংখ্য মানুষের রক্ত সিঁড়ি মাড়িয়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে। এটি একটি বড় বিজয়। এ বিজয়ের মাধ্যমে ছাত্রজনতা একটি বৈষম্যবিরোধী দুর্নীতিমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে। শুধু মুখের কথা ও স্লোাগানে নয়, সত্যিকার অর্থে মানব কল্যাণ ও দেশ সেবায় পরীক্ষিত সৎ ও যোগ্য লোকদের সাহসিকতার সাথে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। নগরীর একটি হলে অধ্যাপক আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক আলাউদ্দীন সিকদার ও অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, অধ্যাপক জাফর সাদেক, উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নুরুল আমিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। সম্মেলনে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জামায়াত একটি অত্যন্ত সুশৃংখল আর্দশবাদী দল। দেশের প্রয়োজনে মানবতার কল্যাণে জামায়াতের সদস্যরা সার্বক্ষণিক সজাগ ও সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী দিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর সদস্যগণকে সর্বোচ্চ কুরবানীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের মূলভিত্তি হলো তাকওয়া। জামায়াতের সদস্যরা নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যাপারে অবশ্যই যোগ্য, দক্ষ, সৎ ও দায়িত্বের প্রতি লোভহীন ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েই নেতৃত্ব নির্বাচন করে থাকেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ড. ছাবের আহমদ, অধ্যাপক ফজলুল করিম, আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী, এডভোকেট আবু নাছের প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।