নগরীর আগ্রাবাদস্থ মানজুমানা প্যালেসে (২৪ মার্চ) সোমবার ছাগলনাইয়া সমিতি চট্টগ্রামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে ভিন্ন শহরে নিজ এলাকার মানুষদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই। নবীন-প্রবীণের এই মিলনমেলায় অংশ নেন শিল্পপতি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইফতার ও দোয়া মাহফিল কমিটির সদস্য সচিব আতিকুল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির আহ্বায়ক কামরুল হাসান চৌধুরী এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ন আহ্বায়ক ও ইফতার ও দোয়া মাহফিল কমিটির আহ্বায়ক এজিএম জিয়া উদ্দিন ভুঁইয়া। এতে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার ও নবী অ্যান্ড কোং-এর স্বত্বাধিকারী নুরুন্নবী।
মো. গোলাম সরোয়ার তার বক্তব্যে দক্ষ যুব সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাগলনাইয়া সমিতির সহযোগিতায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করার ঘোষণা দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. সামছ উদ্দিন আজাদ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামরুল আক্তার, মহিউচসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াকুব চৌধুরী, লিটন পাটোয়ারি, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লা বাহার, পুলিশ ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন, পোর্টল্যান্ড গ্রুপের পরিচালক মমিন মজুমদার, এবং বনফুল এন্ড কোং এর জি এম একাউন্টস জনাব মোঃ রেদোয়ান সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে রমজানের গুরুত্ব ও তাথপর্য নিয়ে আলোচনা ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন মিঝি।
এসময় সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, মনছুর আলম, সোহাগ পাটোয়ারী, এজি এম নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, জাহের আহাম্মেদ মুরাদ, পলাশ মজুমদার, মোঃ আলমগির, শারাফাত উল্যাহ শিপন, আহাম্মেদ হোসেন, এমরান হোসেন হালিম, আরশাদ হোসেন শালিম।
আয়োজকরা জানান, ছাগলনাইয়ার মানুষের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি ইফতার আয়োজন ছিল না, বরং একে অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার এক অনন্য মিলনমেলা।
দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে হয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন নবীন-প্রবীণরা। যেন চট্টলার বুকে এক টুকরো ছাগলনাইয়া নিজেদের শিকড়ের মানুষের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় সময় কেটেছে আনন্দময়। ছাগলনাইয়া উপজেলার মানুষদের জন্য এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।