ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হাইতির প্রধানমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করেছে ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি)। কাউন্সিলের ৯ সদস্যের মধ্যে ৮ জনের সই করা একটি নির্বাহী আদেশে কনিলের স্থলাভিষিক্ত করতে এক ব্যবসায়ী এবং হাইতির সাবেক সিনেট প্রার্থী অ্যালিক্স দিদিয়ার ফিলস এইমির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

কনিল জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা। হাইতিতে গ্যাংনেতৃত্বাধীন চলমান নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি ২০১৬ সালের পর হাইতিতে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবেন।

এক চিঠিতে কনিল দাবি করেছেন যে, তাকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই চিঠি দেখেছে। চিঠিতে হাইতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কনিল। হাইতিতে বর্তমানে কোনও প্রেসিডেন্ট কিংবা পার্লামেন্ট নেই। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, একমাত্র পার্লামেন্টই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারে। গত ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কনিল।

কনিলের পূর্বসূরি অ্যারিয়েল হ্যানরি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের একটি নেটওয়াকের্র হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত এপ্রিলে হাইতির অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) গড়ে ওঠে। হেনরি ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গায়ানায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে হাইতি ত্যাগ করেন। এরপর গ্যাং সদস্যরা তাকে দেশে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্য শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নেয়। তারা হেনরিকে দেশে ফিরতে দেয়নি।

গোলযোগপূর্ণ হাইতিতে টিপিসিকে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাইতিকে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে বর্ণনা করা জাতিসংঘের মতে, জানুয়ারি থেকে হাইতিতে ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০ লাখ হাইতিবাসী বর্তমানে জরুরি খাদ্য সংকটে পড়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান গ্রেটা থুনবার্গের
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত