নগরের কোতোয়ালী থানার খলিফাপট্টিতে মহিউদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করার ঘটনায় দায়ের মামলার সাত আসামি গ্রেপ্তার হয়নি ছয়দিনেও। এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মহিউদ্দিনের স্বজনরা। তারা দাবি করেছেন, মামলা করায় আসামিরা তাদের হুমকি দিচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালী থানার সাব–এরিয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহের বিন বিতরণের সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ। এ ঘটনার রেশ ধরে একইদিন সন্ধ্যায় দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের ভাই মহিন উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন মহিন উদ্দিনের স্ত্রী আশুরা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা (নং ২৫) দায়ের করেন। এতে সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন– আলী আকবর আসিফ প্রকাশ ধামা আসিফ (৩০), মোহাম্মদ সাজ্জাদ (২৬), আলী আকবর তাসিন (২৫), মোহাম্মদ রাসেল (২৫), মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (৩০), ফতেহ আলী (৩৫) ও তকির।
এজাহারে বলা হয়, সাইকেলে করে চাকরি থেকে ফেরার পথে কাজেম আলী রোড কাজী সৈয়দ সুলতান শাহ মাজারের পাশে রাস্তায় পৌঁছুলে মহিন উদ্দিনের উপর হামলা করা হয়। আসামিরা তার বাম হাতে ছুরি দিয়ে ঘাই দিয়ে জখম করে। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করে হাতে। ডান পায়ের হাঁটুর নিচে চাকু ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এলোপাতারি আঘাত করে তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। এসময় মহিন উদ্দিনের পকেট থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও সাইকেলটি নিয়ে যায়।
মহিন উদ্দিনের ভাই মো. ইয়াছিন আজাদীকে বলেন, আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এরপরও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে যে কোনো মুহূর্তে আবারও হামলা করতে পারে আমাদের পরিবারের উপর।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই শেখ তারিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমাদের সোর্স কাজ করছে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে আসামি ধরা পড়বে।
আসামিদের বাদীপক্ষকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওদেরসহ (বাদী পক্ষ) নিয়ে সিসিটিভ ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তাদের বলেছি, আসামিদের দেখামাত্রই যেন আমাদের খবর দেয়।