চাক্তাইয়ে দুই মাস আগে সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে মাঝিরঘাটে শ্রমিক সরবরাহের দায়িত্বে থাকা আবু তৈয়বকে। কিন্তু বাবার নৃশংস মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি নিহতের বারো বছরের ছেলে রাকিব। নিজ গলায় বাবার ছবি ঝুলিয়ে শিশুটি এখনো তার বাবাকে খুঁজে ফিরে। স্থানীয়দের ধারণা, বাবাকে হারিয়ে ছেলেটি মানসিক আঘাত পেয়ে এ ধরনের পাগলামি শুরু করেছে।
রাকিব শিকলবাহা মাস্টারহাট আহছানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। তিনভাই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। চাক্তাই খাল সংলগ্ন বস্তিতে পরিবার নিয়ে থাকা নিহত তৈয়বের পরিবারের সদস্যরা এখন বস্তি ছেড়ে কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় গিয়ে উঠেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
গতকাল ওই এলাকায় গিয়ে অনেকজনের ভিড়ে রাকিবকে দেখা যায়। তবে তার গলায় ঝুলছিল বাবা তৈয়বের ছবি। কারো সাথে তেমন কথা বলতে দেখা যায়নি।
নিহতের ভাই আবু তাহের গতকাল আজাদীকে বলেন, ছেলেটি পাগলের মতো হয়ে গেছে। সারাদিন বাবার ছবি নিয়ে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে। তার বাবার মতো কাউকে দেখলে তাকে বাবা বলে ডাকে। বাবার সবচেয়ে আদরের ছিল সে।
ওর বাবার যেদিন খুন হয় পরদিন লাশ বাড়িতে আনা হয় তখন ছেলেটি রেগে গিয়ে হাতে দা নিয়ে খুনিদের মারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানান তিনি। গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই এলাকায় আবু তৈয়বকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর ঘটনাটি গণপিটুনি হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে হত্যাকান্ডে জড়িতরা। ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে মো. শাহজাহান বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় আকতার হোসেন প্রকাশ কসাই আকতারসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।












