তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। যদিও সেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ছিল একেবারেই হতশ্রী। দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগাররা হেরেছে ৩৫ রানে। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ আজ। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। কারণ এরই মধ্যে দুই ম্যাচের সিরিজে পরিণত হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই আজ তারা নামবে সিরিজ নিশ্চিত করতে। অপরদিকে বাংলাদেশ দলকে নামতে হচ্ছে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। গায়ানায় রাত সাড়ে ১১ টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হারের বৃৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এখন পিছিয়ে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সে তিনটি ম্যাচও হবে এই গায়ানায়। তাই ওয়ানডে সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হলে এই টি-টোয়েন্টিতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের। কিন্তু সে ভরসার জায়গাটা খুঁজে পাচ্ছে না টাইগাররা। কারণ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র সাকিব ছাড়া ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছে দলের সবাই। বল হাতে কোনো বোলারই পারেনি রানের স্রোতে বাধ দিতে। বিশেষ করে দুই ক্যারিবীয়ান ব্যাটার ব্রেন্ডন কিং এবং রবম্যান পাওয়েলের ঝড়ের কাছে অসহায় ছিল টাইগার বোলাররা। অপরদিকে ব্যাট হাতে ঠিক উল্টো পথেই হেটেছে টাইগার ব্যাটাররা। ব্যাতিক্রম ছিলেন কেবল সাকিব। কিন্ত তার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি।
আজকের ম্যাচটি অবশ্য হারানোর কিছু নেই যা আছে কেবলই পাওয়ার তেমন মন্ত্রে খেলতে চায় বাংলাদেশ। এমনিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশ ভাল দল। তার উপর নিজেদের মাঠে খেলবে ক্যারিবীয়রা। তাই সুযোগটা তাদেরই বেশি। তবে বাংলাদেশ দল চাইছে অন্তত সিরিজটা ড্র করতে। আর সেটা করতে যে বাংলাদেশ দলকে কতটা ঘাম ঝরাতে হবে তাও ভালই জানা টাইগার দলপতির। আগের ম্যাচে ভুলের পথে পা না বাড়িয়ে নতুন পথেই যেন হাটতে চায় টাইগার দলপতি। যার যা দায়িত্ব সেটা পালন করেই মাঠে সেরাটা দেওয়ার আহবান বাংলাদেশ অধিনায়কের। যদিও পরিসংখ্যানে একেবারে আহামরি কোনো তফাত নেই দুই দলের।
১৫ মোকাবেলায় ক্যারিবীয়রা যেখানে জিতেছে ৮টি সেখানে বাংলাদেশের জয় ৫টি। কাজেই ব্যবধান আরো কমানোর সুযোগ রয়েছে আজ। আর সে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে টাইগার ব্যাটারদের দায়িত্বটা বেশি নিতে হবে। বিশেষ করে দলের টপ অর্ডারের ব্যাটারদের দায়িত্বটা একটু বেশি। লিটন, এনামুল, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, আফিফদের কাধে দায়িত্বটা একটু বেশি। একইভাবে বল হাতে মোস্তাফিজ, শরীফুল, সাকিব, মেহেদীদের রুখতে হবে স্বাগতিক ব্যাটারদের। তবে বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই মাঠে নামবে তেমনটি জানিয়ে দিলেন টাইগার দলপতি।












