পটিয়ার ছনহরা প্রয়াত প্রফেসর প্রিয়তোষ শীল সড়কটি জীর্ণদশায় পতিত হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটিতে বিভিন্ন দপ্তর থেকে কখনো মাটি ভরাট, কখনো সামান্য স্থানে ব্রিক সলিং করাসহ পরিকল্পিত ও টেকসই মেরামত না করায় দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে এলাকার হাজারো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা ছাড়াও এলাকার ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয় ও ছনহরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজারো ছাত্রছাত্রী এ প্রায় ভঙ্গুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাওয়া আসাতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী ম্যাক্সিম গোর্কী শীল টিপু জানান, পটিয়া টৈইটং সড়কের সাথে ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত এ সড়কটি ২০০৬ সালে সামান্য অংশে সিঙ্গেল ব্রিক সলিংয়ের কাজ করা হয়। এরপর জেলা পরিষদের বরাদ্দে ০১১–১২ ও ২০১৮ সালে তাও সামন্য কিছু মেরামত করা হয়। সড়কের পাশে পুকুর থাকায় বিভিন্ন স্থানে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে। এছাড়াও চলতি বছর পটিয়া উপজেলা থেকে রিটার্নিং ওয়ালের পাশে সামান্য বালি ভরাটে বরাদ্দ দেয়ার পর তা ভরাট করা হয়।
আরও জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটি নিচু হওয়ায় সড়কে হাঁটু পানি জমে থাকে এতে স্থানীয় জনসাধারণসহ একটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীকে কাদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এসময় সড়কে পানির কারণে অনেক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী দ্বীপ মল্লিক ও শাওন দাশ জানান, ছোট বেলা থেকে এ সড়কে নানা দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করে আসছি। পটিয়ায় সরকারীভাবে অনেক বড় বড় সড়ক নির্মাণ ও মেরামত হলেও অদৃশ্য কারণে এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে আমাদের বিদ্যালয়সহ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের এক যুগেরও অধিক সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ সড়কটি মেরামতে উপজেলা পরিষদ থেকে সামন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় সড়কটি অতিসত্ত্বর মেরামত করার জন্য আমি ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।












