টেস্ট ক্রিকেটে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ দল। অবশ্য সবশেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের অভিজ্ঞতাও মোটেও সুখকর নয়। টানা হারের ধকল কাটিয়ে উঠতে এবার শ্রীলংকা সফরে গেল বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটারদের ২১ সদস্যের দলের সঙ্গে এই বহরে সাপোর্ট স্টাফ, কর্মকর্তাসহ আছেন মোট ৪১ জন। শ্রীলংকায় এই সফরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট শূন্য। ২০১৯ সাল থেকে সব মিলিয়ে ৯ টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতে একটি ম্যাচ ছাড়া সবকটি হেরেছে টাইগাররা। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে হারতে হয়েছে ২-০ ব্যবধানে। শ্রীলংকায় যাওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মোমিনুল হক বলেছিলেন ব্যর্থতার এই বৃত্ত ভাঙতে চান তারা।
আগামী শনি ও রোববার নেগোম্বোর কাছেই কাতুনায়েকের সিএমসিজি মাঠে নিজেদের মধ্যে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরপর দল যাবে ক্যান্ডিতে। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ এপ্রিল। পরের ম্যাচটি শুরু হবে ২৯ এপ্রিল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত জুলাইয়ে। সূচিতে ছিল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয় সেই সফর। পরে সেপ্টেম্বরে আবার দুই দেশের বোর্ডের আলোচনা হয় সফর নিয়ে। তখন কোয়ারেন্টিনের সময় নিয়ে টানাপোড়েনে শেষ মুহূর্তে আবার স্থগিত হয় সিরিজ। সেই সিরিজই এবার হচ্ছে। তবে ম্যাচ কমে গেছে একটি। মহামারীকালে এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফর। নিউজিল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে গত ৪ এপ্রিল দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলংকায় বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছে ২০১৭ সালে।
সেবার প্রথম টেস্টে গলে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের শততম টেস্টে স্মরণীয় জয় পেয়েছিল টাইগাররা। শ্রীলংকায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ দলের ঠিকানা হবে বিমানবন্দরের কাছেই নেগোম্বোতে। সেখানে টিম হোটেলে তিনদিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে দলের সদস্যদের। এরপর কোয়ারেন্টিনের মধ্যেই অনুশীলনের সুযোগ মিলবে দুই দিন।
