গত ৫ আগস্টের পর দেশে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু চট্টগ্রামের খেলাধুলায় কোন পরিবর্তণ এসেছে বলে মনে হলোনা। এখনো চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে শর্ষের মধ্যে ভূতের মত দুষ্টচক্র রয়ে গেছে। সচরাচর নিচের দিকের লিগ গুলোকে খেলোয়াড় তৈরির মঞ্চ হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ করে তৃতীয় বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ কিংবা বয়স ভিত্তিক লিগ বা টুর্নামেন্ট গুলো। কিন্তু এসব লিগে যখন পাতানো খেলা হয় তখন অবস্থাটা এমন দাড়ায় যে, যেন খেলোয়াড়দের অংকুরে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। অথবা শুরু থেকেই চুরি শেখানো হয়। গতকাল ছিল তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের শেষ ম্যাচ। যে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিটি টাইগার্স এবং কল্লোল সংঘ গ্রীন। গতকাল মাঠে বসে যারা খেলাটা দেখেছে তারা বেশ হতাশই হয়েছে। এই স্তরের ফুটবলে এ কেমন খেলা ? কি শেখানো হচ্ছে এইসব কোমলমতি শিশু–কিশোরদের। সিটি টাইগার্সের খেলোয়াড়দের দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন চেয়ে চেয়ে গোল হজম করছে। প্রতিপক্ষ দলের স্ট্রাইকার বল নিয়ে যাচ্ছে বিনা বাধায়। আবার নিজেরা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের শিবিরে যেতে যেন আগ্রহই দেখাচ্ছেনা। অবস্থাটা এমন যে, ভাই গোলটা দেবেন ? দীর্ঘ সময় পর চট্টগ্রামে এই তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের শেষ দুটি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে খেলা। কিন্তু দেশের সবকিছুতে পরিবর্তণ এলেও চট্টগ্রামের কোচ কিংবা ক্লাব কর্তাদের চরিত্রে কোন পরিবর্তণ আসেনি। পাতানো ম্যাচ বা সমঝোতার ম্যাচ খেলাতেও একটা সৌন্দর্য রয়েছে। একে একে ছয়টি গোল হজম করল সিটি টাইগার্স। কিন্তু কোন গোলেই দেখা গেলনা প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে। যা মাঠে আসা সংগঠক কিংবা হাতে গোনা কয়েকজন দর্শককে হতাশই শুধু করেনি, লজ্জাও দিয়েছে। সত্যিই সেলুকাস এই জাতি। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সিটি টাইগার্সেল মালিক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু পলাতক রয়েছেণ। কিন্তু যাদের কাঁধে দলের দায়িত্ব ছিল তারা যেন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি প্রবাদের মত খেলাটা শেষ করল। কল্লোল সংঘ গ্রীন ৬–০ গোলের বিশাল ব্যবধানে সিটি টাইগার্সকে হারিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে গেল । আর লিগ রানার্স আপ হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে গেল আলোর ঠিকানা।
গতকাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরষ্কার বিতরন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: কামরুজ্জামান। সিডিএফএ সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওয়াহিদ দুলাল এর পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএফএ সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম লেদু, কোষাধ্যক্ষ দিদারুল আলম, নির্বাহী সদস্য মাহমুদুর রহমান মাহবুব, হারুন আল রশীদ, কাজী মো: জসিম উদ্দীন, আবু সৈয়দ মাহমুদ, সরওয়ার আলম চৌধুরী, মো: জাফর, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ও সালাউদ্দিন জাহেদ, সিজেকেএস কাউন্সিলর দিদারুল আলম চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, আকতারুজ্জামান, প্রবীণ কুমার ঘোষ, এনামুল হক, শওকত হোছাইন, এম এ মুছা বাবলু, আবু জাহেদ, জসিমুল হুদা, ওয়াসিম কামাল রাজা, ফারুক আহমেদ, মো: মামুনুল ইসলাম মামুন, সিডিএফএ কাউন্সিলর আইনুল কবির জিতু, মো: জহির উদ্দীন।