চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবারের ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ৩৬২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে তুলতে পারে ৯ উইকেটে ৩১২ রান। এতে ৫০ রানের জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে যেতে হলে রেকর্ড করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিন্তু প্রায় অসম্ভব সেই রেকর্ডটি করতে পারেনি তারা। সেই রেকর্ড তাড়ায় নিজের সবটা দিয়ে লড়াই করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার। কিন্তু ৬৭ বলে বাঁহাতি ব্যাটারের বীরোচিত সেঞ্চুরি (১০০) কোনো কাজে আসেনি প্রোটিয়াদের। আগের দিন মঙ্গলবার প্রথম সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল ভারত।

নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার ফাইনাল আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রানের জুটি করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাচিন রাবিন্দ্রা। ২১ রানে ইয়াং আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৪ রানের জুটি করেন রাবিন্দ্রা ও উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত দুজনই হাঁকান সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ১০৮ রান করেন রাচিন রাবিন্দ্রা। ১৩টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। উইলিয়ামসন খেলেন ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০২ রানের ইনিংস। ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫তম সেঞ্চুরি এটি। এর বাইরে ৪৯ রান করে নেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। ১৬ রান আসে মাইকেল ব্রাসওয়েলের ব্যাট থেকে। এতেই ৩৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিদি। ২ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা।

৩৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মারকুটে শুরু করলেও ১৭ রানের (১২ বলে) বেশি করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেল্টন। দ্বিতীয় উইকেটে রসি ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৭১ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাভুমা। এখান থেকেই প্রোটিয়াদের সমর্থকদের মুখ থেকে আনন্দের রেখা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। ৬৬ বলে ৬৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ফন ডার ডুসেন। এরপর আর বড় কোনো জুটিই করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এইডেন মার্করাম করেন ৩১ রান।

সতীর্থদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মিলার। ততক্ষণে জয়ের সব সম্ভাবনা শেষ। একাই লড়াই কর দলকে তিনশোর ঘরে পৌঁছে দেন তিনি। ইনিংসের শেষ ৩ বলে ১২ রানে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিলার। ৬৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মিলারের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন লুঙ্গি এনগিদি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও গ্লেন ফিলিপস। ১টি উইকেট এবং ১০৮ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা হন রাচিন রাবিন্দ্রা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
পরবর্তী নিবন্ধজমিয়তুল ফালাহ মসজিদে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির ইফতার