চৌধুরী জহুরুল হকের সৃজন ভুবন

ড. ইলু ইলিয়াস | রবিবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ


বাংলাদেশের সাহিত্যে স্বকীয় সৃজন ভাবনায় সমুজ্জ্বল এক সাহিত্য ব্যক্তিত্ব চৌধুরী জহুরুল হক (১৯৪৭-২০০৮)। একষট্টি বছরের আয়ুষ্কালে সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত ছিলেন। তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর- রচনা করেছেন বহু ছোট গল্প, নাটক, গান, কবিতা, প্রবন্ধ, গবেষণাপত্র, নান্দনিক বচন-প্রবচন, রঙ্গকৌতুক; প্রবর্তন করেছেন নবতর সাহিত্যাঙ্গিক ‘চোঙ্গাগল্প’ পঞ্চরং, আত্মসাক্ষাৎকার, উদ্ভাবন করেছেন প্রকাশ ও পাঠ-সহায়ক চার প্রকার নতুন যতিচিহ্ন; সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাহিত্যপত্র ও সংকলন এবং অঙ্কন করেছেন কয়েক’শ চিত্র ও স্কেচ-মানুষের বিচিত্রমাত্রিক মুখচ্ছবি। চৌধুরী জহুরুল হকের বৈচিত্র্যময় এই বিপুল সাহিত্য ও চিত্রকর্ম শিল্পগত দিক থেকে যেমন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত তেমনি ঐতিহাসিক দিক থেকেও অতীব তাৎপর্যপূর্ণ।
সৃজনশীলতায় নিয়ত নিমগ্ন থাকলেও গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আশ্চর্য রকম নিস্পৃহ। ফলে জীবদ্দশায় তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দাঁড়ায়- মৌলিক ও সম্পাদিতসহ- সর্বসাকুল্যে দশটি-১. চোঙ্গাগল্প (১৯৬৯, ২০০৫) ২. কথার কথা (১৯৭০), ৩. ছোটদের গল্প (১৯৭০, ২০০০), ৪. কল্পিত কল্পনা (১৯৮৩) ৫. কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন রচিত কাব্যনাট্য একশৃঙ্গ নাটক বা ভগবান বুদ্ধদেবের, পূর্ব জীবনী (১৯৯২), ৬. এবনে গোলাম নবীর পাঠশালার স্মৃতি ও অন্যান্য (১৯৯৯), ৭. সুচরিত চৌধুরীর কবিতা (২০০১), ৮. বচন-প্রবচন (২০০২), ৯. প্রসঙ্গ: একুশের প্রথম কবিতা (২০০২) ও ১০. শাড়ির রঙে রঙ (২০০২)- যা তাঁর সৃজন সমগ্রের তুলনায় সামান্যই। আকস্মিক তিরোধানের পর তাঁর বৈচিত্র্যময় বিপুল সাহিত্যকৃতির ঐতিহাসিক ও শৈল্পিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে শিরোধার্য করে আমি উদ্যোগী হই রচনাসমগ্র প্রকাশের এবং তা সম্পাদন কার্যে ব্রতী হয়ে সৃজন সমারোহের নান্দনিক বাতায়নে বসে নিজেকে বারংবার প্রশ্ন করি চৌধুরী জহুরুল হকের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকৃতি কোনটি- নাটক, গবেষণা নাকি চোঙ্গাগল্পসহ নতুন সাহিত্য-আঙ্গিক সমূহের প্রবর্তনা? সুদীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক কাল পরিসরে নির্মিত তাঁর সাহিত্য ভুবনের বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে নাটক। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নাটক-‘পটভূমি’র রচয়িতা তিনি। তাঁর মৌলিক নাটক-সমূহ-১. পটভূমি (১৯৭২), ২. শাড়ির রঙে রঙ (১৯৭৫-আদিনাম পত্রমিতা) ৩. কল্পিত কল্পনা (১৯৭৭), ৪. কেউ জানে নি কখনো (১৯৭৮), ৫. পঞ্চরং (১৯৭৮), ৬. শাস্তি (১৯৭৯), ৭. দণ্ডিত অপরাধ (১৯৭৯), ৮. ভালোবাসা (১৯৮১), ৯. মা (১৯৮৩), ১০. জীবন কখনো কখনো (১৯৮৫), ১১. রক্তের দান (১৯৮৫), ১২. বাসরে বেহাগ (১৯৮৭), ১৩. জ্বীন (১৯৮৯), ১৪. ক্ষমা, ১৫. তরুণ এবং তরুণ তনয়, ১৬. দিব্যশ্রুতি, ১৭. জনসেবা য়্যুনিভার্সিটি, ১৮. তেলাপোকা উপাখ্যান, ১৯. ভয় ও ২০. শিরোনামহীন এবং বিভিন্ন লেখকের বিশিষ্ট গল্প/উপন্যাস অবলম্বনে রচিত নাটকসমূহ হলো- ১. রহস্যময় প্রকৃতি (১৯৭০), ২. মা (১৯৭০), ৩. পালকী গাড়ি, ৪. পাণ্ডুলিপি ও গয়নার বাঙ (১৯৭০), ৫. কবি কাহিনী, ৬. সুপ্রভাত ভালোবাসা, ৭. চিঠি (১৯৭৮), ৮. মতিচূর, ৯. কেরাণীর মৃত্যু, ১০. উইল (১৯৮৯, ১৯৭৬) ১১. একটি কবিতার জন্ম ১২. (১৯৮০), উপহার, ১৩. (১৯৮০) কয়েকটি রজনীগন্ধা (১৯৮২)। এছাড়াও রচনা করেন তিনি অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্রকায় মৌলিক রঙ্গনাট্য।
নাটক রচনার পাশাপাশি নাটক বিষয়ে গবেষণায় নিমজ্জিত হয়ে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে প্রকাশিত কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন রচিত কাব্য নাট্য “একশৃঙ্গ নাটক বা ভগবান বুদ্ধদেবের পূর্ব জীবনী” আবিষ্কার করে সম্প্রসারিত করে দেন বাংলাদেশের কাব্য নাটকের কালিক প্রবীণতার ইতিহাস। অতঃপর বিলুপ্তির অতল থেকে তুলে আনেন একুশের প্রথম কবিতা মাহবুব উল আলম চৌধুরী রচিত কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”-র মূলপাঠ-মূল পুস্তিকা, যার মধ্য দিয়ে রচনার চল্লিশ বছর পর ইতিহাস সৃষ্টিকারী একুশের প্রথম কবিতার শুদ্ধ পাঠের সুযোগ হয় আমাদের। এসবের মাঝখানে ভিন্ন রকম বৈভবে ভাস্বর হয়ে আছে তাঁর প্রবর্তনাসমূহ- চোঙ্গাগল্প পঞ্চরং আত্মসাক্ষাৎকার ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে, চৌধুরী জহুরুল হকের সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে কৈশোরের প্রারম্ভিক পর্যায়ে মাত্র বার বছর বয়সে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সচিত্র সন্ধানী’তে প্রকাশিত ‘একটি কবিতার জন্ম’ শীর্ষক ছোটগল্প রচনার মধ্য দিয়ে; ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছোটদের গল্পসহ রচনা করেন অর্ধশতাধিক ছোট গল্প- যা সংকলিত হয়েছে ১. কথার কথা (১৯৭০), ২. ছোটদের গল্প (১৯৭০) ও ৩. শাড়ির রঙে রঙ (২০০২) এই তিনটি গল্পগ্রন্থে।
ষাট দশকে বাংলা ছোট গল্পের উৎকর্ষের যুগে অল্প বয়সে রচিত চৌধুরী জহুরুল হকের ছোট গল্প শৈল্পিক তাৎপর্যে হয়তো খুব বেশি মূল্যবান বিবেচিত হবে না, কিন্তু সেই অল্প বয়সেই সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ পর্বে ‘কথার কথা’ ‘ব্যাখ্যা’, ‘পুস্তক সমালোচনা’ ‘শাড়ির রঙে রঙ’ ‘শিল্পী’ ‘ক্ষণিক’ ‘পাক’ ‘অনুকল্প’, ‘দুমুখো নদী’ ‘বনফুল’ ‘অকল্পিত’ প্রভৃতি জীবনঘনিষ্ঠ কাব্যিক ব্যঞ্জনাময় তাৎপর্যপূর্ণ গল্প তাঁর হাত দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল, তাতে পাঠক মাত্রেরই অবাক না হয়ে উপায় থাকে না। উপরন্তু তাঁর শিশুতোষ গল্পসমূহে শিশুমনের সৃজনমুখর উদ্দাম স্বপ্ন-আবেগ-কল্পনা, অনাবিল হাসি-আনন্দ ও অন্তরশায়ী সৌন্দর্য বাসনা-সর্বোপরি শিশু মনস্তত্ত্বের যে শিল্পিত প্রকাশ ঘটেছে তা পাঠকচিত্তকে মুগ্ধ করে অনায়াসেই- কাজেই অল্প বয়সে রচিত হলেও গল্পসমূহের বিষয়-বৈচিত্র্য মনস্তাত্ত্বিক বীক্ষণ ও শৈল্পিক সৌন্দর্য স্বতন্ত্র অভিনিবেশ দাবি করে।
১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে চৌধুরী জহুরুল হক ছোটগল্পে আর স্থিত থাকলেন না, নিমগ্ন হলেন বাংলা গল্পসাহিত্যে একটি নতুন আঙ্গিক নির্মাণে।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের তৎকালীন প্রধান অধ্যাপক আলাউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় শিক্ষক দিলওয়ার হোসেনের পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় উনিশ’শ ছেষট্টি খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম কলেজ বাংলা সংসদের এক সাহিত্য সভায় বিভাগের সম্মান শ্রেণির ছাত্র চৌধুরী জহুরুল হক সাতটি নমুনা গল্পসহ- (১) দুই অভিভাবক, (২) কাবুলি ওয়ালা, (৩) পরীক্ষা, (৪) পেয়ারা, (৫) সিনেমা দেখা, (৬) যেহেতু ভদ্রলোক প্রেমিক, (৭) সমালোচনা-‘চোঙ্গাগল্প: একটি প্রস্তাব” শিরোনামে উপস্থাপন করেন ‘চোঙ্গাগল্প’ নামীয় কথা সাহিত্যের এক নতুন আঙ্গিকের প্রস্তাবনা ও শৈল্পিক রূপকল্প এবং তা প্রথম প্রকাশিত হয় উনিশ’শ ছেষট্টি খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে “তিনটি চোঙ্গাগল্প: একটি প্রস্তাব” শিরোনামে শামসুল আলম সম্পাদিত দোলনা ডাইজেস্ট-এ। অত:পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ‘সাত সতেরো’ ‘অন্বেষা’, ‘মেঘনা’, ‘কাগজ’ প্রভৃতি সাহিত্যপত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে চোঙ্গাগল্প আন্দোলন। পরবর্তীতে ‘অনেক আশার হাতছানি’, ‘আন্তরিক’, ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’, ‘বৃষ্টি সবুজ কান্না’, ‘রক্তস্রোত’, ‘পূর্বাপর’, ‘বিচিত্রতা’, ‘কালক্রম’, ‘বাঙলা’, ‘অন্তিকা’, ‘প্রদীপ’, ‘পদাঙ্ক’, ‘রোববার’, ‘সবুজণ্ঠ’ ‘প্রতিভাস’, ‘শাপলা’, ‘মোহনা’, ‘কাশ-কিংশুক’ ‘পদক্ষেপ’, ‘পরিপ্রেক্ষিত’, প্রভৃতি এই চোঙ্গাগল্প আন্দোলনকে নিয়ে যায় পূর্ণতার অভিমুখে- যা মনিরুজ্জামানের কাছে প্রতিভাত হয়েছে “সাহিত্যসৃষ্টির এক বিরল উল্লাসময় ইতিহাস” রূপে।
চৌধুরী জহুরুল হক প্রবর্তিত বাংলা কথাসাহিত্যের এই নব-আঙ্গিক ‘চোঙ্গাগল্প’ স্পষ্টতই তিনটি বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।
এক. সংক্ষিপ্ততা, দুই. ব্যঙ্গধর্মীতা, তিন. নাটকীয় চমক।
আকৃতিগত সংক্ষিপ্ততা সম্পর্কে প্রবর্তক বলেন, “ঢেডী অর্থে যা বোঝায় চোঙ্গাগল্প হবে অনেকটা সে ধরনের- টাইট টাইট-মুলের উপর সামান্য মাত্র ভাষা এবং ভাব-ভাবনার প্রলেপ” আর তাতেই নির্দিষ্টতা পায় এর আকৃতিগত সংক্ষিপ্তা বা ছোটত্বের পরিধি-‘চোঙ্গাপ্যান্টের মুখ।’ অবশ্য এ হচ্ছে ছোটত্বের বা সংক্ষিপ্ততার সর্বনিম্ন সীমারেখা। কাজেই চোঙ্গাগল্পের আকৃতিগত পরিধি ‘সনেট’ কিংবা ‘হাইকু’র মত শতভাগ সুনির্দিষ্ট নয়- উপজীব্যের অনিবার্য প্রয়োজনে গল্পে গল্পে সামান্য হলেও আকৃতিগত ব্যবধান বিদ্যমান- যেমন বিদ্যমান মানব শরীর ভেদে চোঙ্গাপ্যান্টের মুখের আকৃতিগত ব্যবধান। ‘শরবত’, ‘একাল-সেকাল’, ‘কারণ’ ‘উল্লাসে যন্ত্রণা’, ‘দুই অভিভাবক’, ‘প্রথম খবরপাঠ’ প্রভৃতি গল্পে এই বিদ্যমানতা সুস্পষ্ট। কিন্তু সর্বত্রই বিবরণ বহুলতা বিবর্জিত, সুসংহত, সুনিয়ন্ত্রিত।
চোঙ্গাগল্পের অন্তঃপ্রকৃতি তথা উপজীব্য হাস্যকৌতুকে উদ্ভাসিত। আর এই হাস্যকৌতুকের অন্তরালে নিহিত থাকে তীব্রব্যঙ্গ। গল্পের এই তীব্র ব্যঙ্গে অভিব্যঞ্জিত হয়ে ওঠে ব্যক্তির বহুমাত্রিক বিকৃতি, সমাজ-রাষ্ট্রের অনাচার-অসংগতি। আর তা রূপায়িত হয় গল্পের অন্তিমে প্রবল নাটকীয় চমকাশ্রয়ে। এভাবে আকৃতি, অন্তঃপ্রকৃতি ও পরিণতির অন্তর্গূঢ় গ্রন্থনায় নির্মিত হয় নান্দনিক চোঙ্গাগল্প।
অনেকেরই এমন ধারণা যে, চোঙ্গাগল্প কেবল চৌধুরী জহুরুল হক লিখেছেন। এই ধারণা সঠিক নয়-চৌধুরী জহুরুল হক চোঙ্গাগল্পের উদ্ভাবক, মুখ্য রচয়িতা ও এ গল্প আন্দোলনের অধিনায়ক আর এ আন্দোলনের অংশীভূত চোঙ্গাগল্প লেখক সংখ্যায় অনেক; ২০০০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত আমার ‘চৌধুরী জহুরুল হকের নান্দনিক নিরীক্ষা ও নির্মিতি’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থে আমি বাষট্টিজন গল্পকারের একটি তালিকা প্রদান করেছিলাম। এই বাষট্টি জনের মধ্যে আছেন সুচরিত চৌধুরী, সুব্রত বড়ুয়া, নাজমুল আলম, আবদার রশীদ, দাউদ হায়দার, দিলারা জামান, বিপ্রদাশ বড়ুয়া, আ. ফ. ম সিরাজ উদ্‌্‌দউলা চৌধুরী, দিলওয়ার হোসেন, দিলীপ কুমার লাহিড়ী, ধনিরাম বড়ুয়া, বেলাল মোহাম্মদ, মততাজউদ্‌্‌দীন আহমদ মনিরুজ্জামান, দানিউল হক, ময়ুখ চৌধুরী, শাহাবুদ্দীন নাগরী প্রমুখ খ্যাতিমান লেখক।
হ্যাঁ, চৌধুরী জহুরুল হক নাটকেও উদ্ভাবন করেন নতুন আঙ্গিক-পঞ্চরং। কিন্তু নাটক যেহেতু মঞ্চের শিল্প, পঞ্চরং-এর প্রকৃত সাফল্যে স্বীকৃতি তাই আজও মঞ্চের পরীক্ষায় অবতীর্ণের অপেক্ষায় রয়ে গেল। সুতরাং সেই পরীক্ষা ও তার ফল জানার পূর্বে বতর্মান পরিস্থিতিতে আমরা অনায়াসেই বলতে পারি চৌধুরী জহুরুল হকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি অনেক, কিন্তু শ্রেষ্ঠতম চোঙ্গাগল্প। ত্রয়োদশ প্রয়াণ দিবসে এই মহৎ সাহিত্য স্রষ্টা চৌধুরী জহুরুল হককে স্মরণ করি গভীর গভীরতম শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক; অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে
পরবর্তী নিবন্ধআসতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ