স্বর্ণকার চোর পোষেন! নগরীতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। নগরীর হাজারীগলিতে এমন এক স্বর্ণকারের সন্ধান পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ, যিনি চোরাই স্বর্ণ কেনার পাশাপাশি চোরদের অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকেন। দুই চোর চুরি করে আনা স্বর্ণ তার কাছেই বিক্রি করেন। তার নাম প্রনব ধর। কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম দুই চোর মো. শরিফ (৩৮) ও মো. আব্দুল জলিলকে (৩০) বৃহস্পতিবার ফিরিঙ্গী বাজার জেএমসেন স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তারের পর এ স্বর্ণকারের নাম বের হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রেঞ্চ, ছেনী, ট্রাভেল ব্যাগ ও ব্যবহৃত রিকশা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে স্বর্ণকার প্রনব ধরকেও (৬৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজামউদ্দীন আজাদীকে বলেন, তারা আগে সিএনজি টেক্সিযোগে চুরি করতে বের হতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে তাদের এক সহযোগী সিএনজি টেঙি সহ ধরা পড়ার পর তারা চুরি করতে বের হয় রিকশা নিয়ে। একজনের কাজ রেঞ্চ ও ছেনী ব্যবহার করে দরজা ভেঙে বা তালা কেটে বাসার ভেতরের জিনিস বাইরে নিয়ে আসা। আর অন্য জনের কাজ এই সময়ের মধ্যে বেগতিক কিছু নজরে আসলে ভেতরের জনকে খবর দেয়া। এভাবে তারা গত আট থেকে দশ বছরে অন্তত ৭০০ চুরি করেছে।
ওসি নেজাম আরো বলেন, এই বছরে নন্দনকানন এলাকার হরিশ দত্ত লেন, নবাব সিরাজউদদৌলা রোড, রহমতগঞ্জের পুরাতন কুসুমকুমারী স্কুল এলাকায় তিনটি চুরির ঘটনা ঘটে। তিনটা ঘটনাতেই থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলাগুলো তদন্তে সংগ্রহ করা প্রতিটি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া শরিফ আর জলিলকেই দেখা গেছে। পরে তারা চুরির কথা স্বীকারও করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রনব ধর নামে ওই স্বর্ণকারের কাছে চোরাই স্বর্ণ বিক্রির কথাও জানায়। এরা কোতোয়ালী থানা এলাকার পাশাপাশি চকবাজার, খুলশী ও বাকলিয়া এলাকাতেও অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।