চোরাচালান রোধে স্বর্ণ আমদানির উৎস কর প্রত্যাহার হচ্ছে

| শনিবার , ৪ জুন, ২০২২ at ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করা এবং চোরাচালান বন্ধ করার জন্য সরকার স্বর্ণ আমদানির ওপর থেকে উৎস কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বাংলানিউজের।

বর্তমানে স্বর্ণ আমদানি করলে ৫ শতাংশ উৎস কর দিতে হয়। বাংলাদেশ কাস্টমসের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন আন্তর্জাতিক যাত্রী ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি সোনা নিজের সঙ্গে আনতে পারেন। আর সেজন্য প্রতি ভরির (১১.৬৬ গ্রাম) জন্য কর দিতে হয় দুই হাজার টাকা। অন্যদিকে একজন যাত্রী ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গহনা শুল্কমুক্ত অবস্থায় আনতে পারেন। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ স্বর্ণ আমদানির ওপর অগ্রিম কর বাতিলের পরিকল্পনার জন্য সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এটি শিল্প ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে। তিনি বলেন, আমরা এনবিআরকে অনুরোধ করেছি, আমাদের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে। কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা গ্রাহকদের ভ্যাট দিতে উৎসাহিত করবে।

এর আগে, সরকার দেশের জন্য প্রথম গোল্ড পলিসি২০১৮ প্রণয়ন করে, যার লক্ষ্য ছিল স্বর্ণের আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা এবং দেশের স্বর্ণ খাতকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার মাধ্যমে এর বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নীতিটি ২০১৮ সালের ২৯ শে অক্টোবর কার্যকর হয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে কিছু বেসরকারি উদ্যোক্তা সরকারি নিয়ম ও প্রবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সোনা আমদানি করতে আগ্রহী হয়েছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, উৎস কর প্রত্যাহার গহনা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। নীতিমালা অনুযায়ী, গোল্ড রিফাইনারি ইউনিট স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুসরণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩০ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের সংখ্যা ৫৫০ ছাড়িয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার