চোরাচালানের ২৫ গরু নিয়ে বিপাকে চকরিয়া থানা পুলিশ

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের আলীকদম সীমান্ত দিয়ে ঢোকার পর কক্সবাজারের চকরিয়ার মানিকপুর থেকে বিজিবি কর্তৃক জব্দকৃত ২৫টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছে থানা পুলিশ। সপ্তাহ-দেড়েক আগে গরুগুলো জব্দের পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের ১০ সদস্য এবং বহনকারী পিকআপ ভ্যানের পাঁচ চালকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা রুজু করে বিজিবি। একইসাথে গাড়িসহ জব্দকৃত গরুগুলো হেফাজতে দেওয়া হয় থানা পুলিশের। এতে দৈনন্দিন খাবার যোগাড় করাসহ প্রচণ্ড শীতে গরুগুলোর দেখভাল করা নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছে তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জব্দৃকত গরুগুলো বর্তমানে চকরিয়া থানার পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা আছে। দিনদিন গরুগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। আর গরুগুলোর মালিক সেজে কয়েক ব্যক্তি প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থাও করছে। এই অবস্থায় পুলিশও কথিত মালিকদের বাধা দিচ্ছে না মানবিক বিবেচনায়। অভিযোগ উঠেছে, চোরাচালান হয়ে দেশে ঢোকা গরুগুলোর যারা মালিক বলে দাবি করছেন মূলত তারাই চোরাচালানি সিন্ডিকেটের সদস্য। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তারা মামলার আসামি হয়নি। এই অবস্থায় প্রকৃত চোরাচালানিরাই পার পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পুলিশসহ অনেকে।

চোরাচালানের ধারায় চকরিয়া থানায় বিজিবি কর্তৃক রুজুকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সেলিম হোসেন বলেন, কারা এসব গরুর চোরাচালানি তাদের তথ্য বের করা হচ্ছে। অচিরেই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

থানা হেফাজতে থাকা গরুগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী আজাদীকে বলেন, গরুগুলো থানা হেফাজতে দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। গরুগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে তা আদালতের ওপরই নির্ভর করছে। এজন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেছেন। তবে এখনো কোনো আদেশ আসেনি। আদালত যেভাবেই আদেশ দেবেন সেভাবেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়িতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৬০টি গরু জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে শেখ হাসিনা ভয় পান না : কাদের