নগরীর বাদুরতলা আল মাদানী রোডের একটি ওয়ার্কশপ থেকে সিএনজি টেক্সি চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। চোরাই টেক্সি বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি তিনটি চোরাই টেক্সি এবং চেসিস ও নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ও আগের দিন শুক্রবার পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার এবং তিনটি চোরাই টেক্সি ও নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। নগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) পৃথক এ দুটি অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তার চোর চক্রের দুই সদস্য হলো মো. হাসান পাটোয়ারী ও মো. বিল্লাল হোসেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশের উপ–পরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে গত শুক্রবার প্রথমে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বাদুরতলার আল মাদানী রোডের একটি অটো ওয়ার্কশপে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে চোরাই টেক্সি বিক্রির সময় মো. হাসান পাটোয়ারী ও মো. বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ১টি চোরাই সিএনজি টেক্সি (ঢাকা–দ–১১–০৫৬৮), ৩৫টি লেটার পাঞ্চ, ১টি ড্রিল মেশিন, ২টি কাটার, ১টি রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট (চট্টগ্রাম–থ–১৩–৩৪১১), ২টি রিপিট গান, ১টি হাতুড়ি, ১টি প্লাস, ১টি রেত, ও ১টি স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, তারা চোরাই টেক্সি সংগ্রহ করে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে জনৈক নেজামের কাছে একাধিকবার বিক্রি করেছে। নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শরফতউল্লাহ পেট্রোল পাম্পের পেছনে নেজামের গ্যারেজ রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শরফতউল্লাহ পেট্রোল পাম্পের পেছনে নেজামের গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আরো দুটি চোরাই টেক্সি উদ্ধার করা হয় (ঢাকা–দ–১১–২৪৫৭ ও ঢাকা–দ–১৪–০৪০৮)। তবে নেজামকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। নগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশের উপ–পরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চোর চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।