চোখে-মুখে অন্ধকার, চিকিৎসা ব্যয় মিটবে কীভাবে

ভাগ্যগুণে রক্ষা পেলেন দুজন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

কাট্টলীর মরিয়ম ভিলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হলেও ভাগ্যগুণে রক্ষা পান দুই সদস্য। এরা হচ্ছেন গৃহকর্তা জামাল শেখ এবং তার সন্তান রিমন শেখ। ঘটনার সময় কর্মস্থলে ছিলেন জামাল এবং বাথরুমে ছিলেন রিমন। অবশ্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেছেন তারা। কারণ ইতোমধ্যে রিমন হারিয়েছেন তার মাকে। স্ত্রী হারানো হতভাগ্য জামাল আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরানো তার চার সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় কীভাবে মিটাবেন সেই চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে দেখা গেছে, অগ্নিদগ্ধ ছোট সন্তান মাহিয়া শেখের পাশে বসে আছেন জামাল শেখ। চেহারায় বেদনার ছাপ। মাঝে মাঝে মুচছেন চোখের পানি। এ সময় তার মুঠোফোনে কল আসে। রিসিভ করে অপর প্রান্তের লোকের উদ্দেশ্যে বলেন, ছোট চাকরি করি, চিকিৎসার খরচ কীভাবে মিটাব?
জানতে চাইলে আজাদীকে বলেন, সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করি। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। এর বেশি কিছু বলতে পারলেন না তিনি। অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পাওয়া রিমন শেখ পরিবারটির মেজ ছেলে। তিনি আজাদীকে বলেন, যে কক্ষে ঘটনা ঘটেছে সেই কক্ষের বাইরে অন্য কক্ষের টয়লেটে ছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে বের হয়ে আসি। এসেই দেখি অন্ধকার। এদিকে জামাল শেখের বড় ছেলের স্ত্রী দিলরুবাও ঘটনার সময় অন্য একটি বাথরুমে ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাথরুম থেকে বের হওয়া মাত্র তার মাথায় আগুন ধরে যায়। তিনি আজাদীকে বলেন, বের হয়ে দেখি সবাই কাতরাচ্ছেন। আমার মাথায়ও আগুন লেগে যায়। এরপর জ্ঞান হারিয়েছি। কারা হাসপাতালে এনেছে জানি না। দিলরুবার শরীরে ৭ শতাংশ পুড়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্যাস বিস্ফোরণ : বিকল্প নেই সচেতনতার
পরবর্তী নিবন্ধসিটি কর্পোরেশনের লোভী মনোভাব যাচ্ছে না