চোখের সমস্যা নিয়ে ৫ জনসহ ৭ জনকে ঢাকায় প্রেরণ

চমেক হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ জুন, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্য অনেকের চোখের সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনের চোখের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানোর কথা বলেছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখার পর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অংসু প্রু মারমা, সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, ডা. হুমায়ুন কবির, ডা. আব্দুল মান্নান, ডা. শাহীদা আক্তার, হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. তনুজা তানজিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. উৎপল সেন, কনসালটেন্ট ডা. মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, এখানে ভর্তি ৬৩ জন রোগীকে আমি দেখেছি। তাদের কোনো না কোনোভাবে অন্যান্য ইনজুরির সঙ্গে চোখেরও সমস্যা রয়েছে। কিছু রোগীর সিভিয়ার ইনজুরি রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ঢাকায় পাঠাতে বলেছি। চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট তাদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত আছে। ছয়জনের মধ্যে একজনের কর্নিয়া পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক বলেন, তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রয়োজনে তাকে বিদেশ পাঠানো হবে। সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে। অন্যান্য ওয়ার্ডে কিছু রোগী আছে যাদের অন্য বড় সমস্যা আছে। চলাচল করতে পারার মতো হলে তাদেরও ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবার প্রশংসা করে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া বিষয়ে আশ্বস্ত করেন ডা. দ্বীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। রোগী ও রোগীর পরিবার যাতে চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে টেনশন না করেন।

বিস্ফোরণে দুই ধরনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এ চিকিৎসক বলেন, রাসায়নিক রিয়েকশনের সঙ্গে আঘাতও হয়েছে। দুয়েকজন দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় ভুগলেও ভালো হয়ে যাবে। তবে তাদের রুটিন চেকআপে রাখা হবে। পরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ৫ জন রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. উৎপল সেন। তাদের চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হবে। এর বাইরে অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে একজন এবং বার্ন ইউনিট থেকে একজনসহ মঙ্গলবার মোট ৭ জনকে ঢাকায় পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে কিছু একটা ঘটেছে সন্দেহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে জোনায়েদ সাকীর ওপর হামলা