চোখের জলেও নদী হয়

| বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

জুয়েল ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদটি অপ্রত্যাশিত কিংবা খুব বিস্ময়কর ছিল না। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। অনেক বছর ধরে লড়াই করছিলেন ক্যানসারের সঙ্গে। মাঝে মধ্যে শুনতাম তিনি সুস্থ। আবার শুনতাম হাসপাতালে ভর্তি। অর্থাৎ জীবন ও মৃত্যুর দোলাচলেই ছিলেন। কিন্তু সেটি তার ভক্তঅনুরাগীদের বুঝতে দেননি। যথাসম্ভব গান গেয়েছেন। টেলিভিশনের স্ক্রিনেও ছিলেন। কিন্তু জীবন ও মৃত্যু দোলাচল থামিয়ে সত্যিই থেমে গেলেন। খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল তার সংক্ষিপ্ত নামেই পরিচিত। খবর বিডিনিউজের।

গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষ এবং আশির দশকের শুরুতে বাবার চাকরির সুবাদে তারা ছিলেন ঝালকাঠি শহরে। শহরের কোর্ট রোড এলাকায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী তালুকদারের যে বাড়িতে তারা ভাড়া থাকতেন, অনেক বছর পরে আমরাও সেই বাড়ির ভাড়াটিয়া হই। যদিও এই তথ্যটি জেনেছি আরও অনেক পরে। ততদিনে তার শিল্পীসত্তার সঙ্গে আমরা পরিচিত। জুয়েল ভাই প্রথম মঞ্চে গান করেন ঝালকাঠিতেই। ১৯৭৮ সালে। তিনি তখন ঝালকাঠি সরকারি বালক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। বলা হয় ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। ওই বয়সেই জুয়েল ভাই যেভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন, সেটি ছিল তার শিল্পী হয়ে ওঠার বড় অনুপ্রেরণা। বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাতে একটা ক্ষতিও হয়েছে।

পাবলিক পারফরমেন্সের প্রেম পেয়ে বসলো আমাকে। ফলে আমার আর খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখা হয়ে ওঠেনি। জুয়েল ভাইয়ের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। তারপর আরও অনেকগুলো অ্যালবাম প্রকাশিত হলেও তার ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি দারুণ জনপ্রিয় হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবার কবরে শায়িত হলেন শাফিন আহমেদ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৯.৫৭ কোটি টাকা