বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার ভাবা হয় তাওহিদ হৃদয়কে। বরাবরই তিনি দলের হয়ে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন হৃদয়। আর সে জণ্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। যদিও এবারের এমিয়া কাপে শুরুটা ভালোই করছিলেন। কিন্তু টি–টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারছিলেন না তাওহিদ হৃদয়। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হংকং এর বিপক্ষে ৩৬ বল খেলে ৩৫ রান করেছিলেন। কিন্তু পরের ম্যাচে ছন্দপতন। পরের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৯ বলে করলেন ৮ রান। তৃতীয় ম্যাচেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০ বল খেলে করেন ২৬ রান। যা হৃদয়ের সাথে বড়ই বেমানান। এমন পারফরম্যান্সে বেশ সমালোচনার মুখে ছিলেন। কেননা হৃদয়ের খেলাটা ঠিক তার মানের হচ্ছিল না। বড় বড় ছক্কা, দারুণ সব চার মারার সামর্থ্য আছে তার । কিন্তু বড় আসরে সেটা মেলে ধরতে পারছিলেন না হৃদয়। অবশেষে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এলেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার। দুবাইয়ে এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টির সুপার ফোর পর্বেল উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে মারকুটে এক ইনিংস খেললেন হৃদয়। খেললেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। আর তার দারুণ ইনিংসে জিতলো দলও। ম্যাচ জেতার পর হৃদয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাওহিদ হৃদয় লিখেছেন, চেষ্টা সবসময়ই থাকে। তবে ভাগ্য এবং রিজিক হয়তো সবসময় একরকম থাকে না। আমি এবং আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি। নিজের এবং নিজেদের সর্বোচ্চ এবং সর্বশেষ টুকু দিয়ে হলেও মাঠে লড়াই করতে তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া সব খারাপ এবং ভালোর জন্য। তাওহিদ হৃদয় দলের ব্যাটিংয়ে অন্যতম স্তম্ভ। তার কাছ থেকে দল সবসময় ভাল কিছু আশা করে। কিন্তু মাঝে মাঝে এতটাই বিবর্ণ হয়ে যান হৃদয় যা তাকে সমালোচনার মুখে ঠেলে দেয়। যেহেতু কঠিন সময় পার করে স্বরূপে ফিরেছেন হৃদয়, তাই দলও আশা করে তার এই ধারা অব্যাহত থাকবে। যা দলের জন্য মঙ্গল।