চার কোটি টাকার চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান গতকাল সোমবার বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার মো. শাহিবুর রহমান গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। মামলায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আসামিদের ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিল আদালত। ওইদিন ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তবে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের জন্য ২৪ মার্চ তারিখ রাখা হয়েছিল সে সময়। এর মধ্যে গাজী শাহাগীর হোসাইনও আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
এদিকে বিদেশে থাকা সাকিব আল হাসান আত্মসমর্পণ না করায় এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় তার সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রাফি আহসান। শুনানি শেষে আদালত সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন বলে আইনজীবী রাফি আহসান জানান। মামলার আরেক আসামি মালাইকা বেগম সমপ্রতি মারা গেছেন বলে খবর এসেছে। তবে তার মৃত্যু প্রতিবেদন এখনো আদালতে আসেনি।
মামলায় বলা হয়, সাকিবের মালিকানাধীন ওই অ্যাগ্রো ফার্ম ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর মধ্যে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মত পরিশোধ না করায় ব্যাংক ওই টাকা মেয়াদি ঋণে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর সাকিবের কোম্পানি চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক ‘বাউন্স’ করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানি শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পর ৩০ দিন পার হলেও সাড়া না পেয়ে আদালতে এই মামলা করা হয়।