চুরি করতে ঢুকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত যুবক গ্রেপ্তার

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৭ জুলাই, ২০২৫ at ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোররাতে ভাড়া বাসায় চুরি করতে ঢুকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনষ্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকার করে সে।

এর আগে ঘটনাস্থল ভাড়া বাসার ও আশপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে থানা পুলিশ। এর পর সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে শনাক্তের পর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় চকরিয়া পৌরসভা এলাকা থেকে।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. পারভেজ প্রকাশ আবুল কালাম (৩৯)। সে চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মগবাজার খামারপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। তবে বর্তমানে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজারের মেম্বারপাড়া এলাকায় সপরিবারে বসবাস করে আসছিল সে।

চকরিয়া থানার পুলিশ জানায়, পুলিশ কনষ্টেবলের বাসায় চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক পারভেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলার মধ্যে চুরির একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মোবাইল জব্দ করা হয়। সেই মোবাইলের কল লিষ্টের সূত্র ধরেই শনাক্ত হয় পুলিশ সদস্যের বাসায় চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় সে জড়িত রয়েছে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে অকপটে স্বীকার করে নেয়। এর পর ভুক্তভোগী (ধর্ষিতা) নারী থানায় গিয়ে অপরাধীকে শনাক্ত করেন এবং সে-ই ঘটনায় জড়িত মর্মে নিশ্চিত করেন থানা পুলিশকে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত এক কনষ্টেবল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন অনেক দিন ধরে। গত সোমবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে ওই বাসার রান্নাঘর দিয়ে কৌশলে ঢুকে পড়েন গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা পারভেজ। তবে ঘটনার সময় ওই পুলিশ সদস্য নিজের কর্মস্থলে ছিলেন। ঘরে ঢুকেই পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে জিম্মি করে দুইটি মোবাইল ও নগদ আড়াই হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তাঁর স্ত্রীকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে
ধর্ষণও করেন।

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস বলেন, অনেক আগের একটি চুরির মামলায় পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সদস্যের ভাড়া বাসায় চুরি ও ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। পরে ভিকটিম নারী পারভেজকে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় পারভেজই চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।

তিঁনি আরও জানান- আগের একটি চুরির মামলায় পারভেজকে বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। এ সময় পুলিশ আদালতে আবেদন করে পুলিশ কনষ্টেবলের বাসায় চুরি ও ধর্ষণের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর। পাশাপাশি তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন দেওয়া হয়। তবে এখনও আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে নিখোঁজ যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীর মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে তিন ছাত্র ভয়ংকর ফাঁদে