চুরিবিদ্যায় পোক্ত, সাত মাসে সাত মোটর সাইকেল চুরি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ জুন, ২০২২ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

১৬ বছরের কিশোর আবিদ হোসেন শ্রাবণ। তার নেতৃত্বে চলে একটি মোটরসাইকেল চোর চক্র। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর মা-বাবার বিচ্ছেদের কারণে আর স্কুলের গন্ডি মাড়ানো হয়নি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায় শিক্ষিত হতে না পারলেও চুরিবিদ্যায় সে উচ্চ শিক্ষিত। নিমিষেই চুরি করে মোটরসাইকেল। চুরিবিদ্যায় সে এতটাই পোক্ত যে, মাত্র সাত মাসে চুরি করেছে ৭টি মোটরসাইকেল। এ ছাড়া শ্রাবণের নামে রয়েছে নগরীর বিভিন্ন থানায় প্রায় হাফডজন চুরির মামলাও।

চট্টগ্রামে কিশোর শ্রাবণসহ মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে চুরি করা সাতটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। নগরী ও পটিয়ায় গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে বাকি দু’জন হল- মো. আমান (২৫) ও সাজ্জাদ হোসেন (৩১)।

অভিযানে অংশ নেওয়া বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার আজাদীকে জানান, শনিবার বিকেলে নগরীর বন্দর থানার পশ্চিম নিমতলা পানামা টার্মিনালের পাশে চেকপোস্টের অভিযানে একটি চোরাই বাইসাইকেলসহ এক কিশোর আটক হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকা থেকে আমানকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শান্তিরহাট এলাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিমতে শান্তিরহাটে একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে আরও ছয়টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এসআই কিশোর বলেন, গ্রেপ্তার শ্রাবণ মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চুরিতে বিশেষভাবে পারদর্শী। আবার সে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচায় মধ্যস্থতাও করে। মোটরসাইকেল চুরির পর আমান ও সাজ্জাদের মাধ্যমে সেগুলো নেওয়া হয় পটিয়ার শান্তিরহাটে একটি গ্যারেজে। সেখানে চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করে সেগুলো বিক্রি করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাপিত্তাছরা ঝর্ণা থেকে পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকটি হার