চীন হামলা করলে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র রক্ষা করবে বলে আবারও মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। মার্কিন বাহিনী তাইওয়ানের পাশে থাকবে কি না প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, হ্যাঁ, আদতেই তাইওয়ানের ওপর অপ্রত্যাশিত কোনও হামলা হলে মার্কিন সেনারা তাদের রক্ষা করবে। তবে বাইডেনের এই মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে বলেছে, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নীতি বদলায়নি। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ মেনে নিয়ে এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন জানালেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ রয়েছে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অস্ত্রও বিক্রি করে। আইনের আওতায় তাইওয়ানকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। খবর বিডিনিউজের।
ওদিকে, চীন তাইওয়ানকে তার নিজের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে, একদিন না একদিন প্রদেশটি মূলভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হবে বলেও মনে করে তারা। সেই ধারণা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয় না বেইজিং। রোববারের সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাইওয়ানকে রক্ষার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাইওয়ানকে রক্ষা করা মনে তাদের স্বাধীনতায় উৎসাহ দেওয়া নয় বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
তিনি বলেন, এক চীন নীতি আছে। স্বাধীনতা নিয়ে তাইওয়ানের নিজস্ব বক্তব্য আছে। আমরা তাদের স্বাধীনতায় উৎসাহ দিচ্ছি না। এটি তাদের সিদ্ধান্ত। এর আগে গত মে মাসেও এশিয়ায় প্রথম সফরে জাপানে থাকাকালে বাইডেন তাইওয়ানকে রক্ষা করার কথা বলেছিলেন। সে সময়ও তিনি বলেছিলেন, হামলা হলে তাইওয়ানের পাশে মার্কিন বাহিনী থাকবে। এরপর হোয়াইট হাউজও তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছিল, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি নীতির পরিবর্তন হবে না। মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা খাতে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। তাইওয়ানকে এই অস্ত্র দেওয়া এবং দ্বীপদেশটির পাশে থাকার বাইডেনের প্রতিশ্রুতির নিন্দা এবং ঘোর বিরোধিতা করেছে চীন।









