চীন ও তাইওয়ানকে একত্রিত হতেই হবে

শি জিনপিংয়ের ঘোষণা

| রবিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২১ at ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সাথে একত্রিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেইজিং ও তাইপের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার মাঝেই গতকাল শনিবার এমন ঘোষণা দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। ‘মাতৃভূমির সম্পূর্ণ পুনরেত্রীকরণের ঐতিহাসিক কাজটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে,’ রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা ও সুধীসমাজের লোকজনের সামনে চীনের বিখ্যাত গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে দেয়া ভাষণে বলেন জিনপিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপ-অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ করতে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ, যেটি ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে মিশে যাবে। তবে গত দুই দশক ধরে তাইওয়ানের বেশ কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন করে যাচ্ছে। চলমান উত্তেজনার মাঝে জিনপিং-এর দেয়া এমন মন্তব্য আলাদা গুরুত্ব বহন করছে, বলে মনে করা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন তাইওয়ানের আকাশে ঢুকে পড়ছে চীনের বিমানবাহিনী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সমমনা গণতান্ত্রিক দেশের সহায়তা চাইছে তাইওয়ান। খবর ডয়েচে ভেলের।
যা বললেন শি জিনপিং :
সর্বশেষ রাজবংশের পতনের বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটিতে দেয়া ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বিচ্ছিন্নতা দমনে চীনের গৌরবময় ঐতিহ্য আছে। তাইওয়ানে স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদ বলে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এটি পুনরেত্রীকরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা এবং পুনঃশক্তিসঞ্চারের পথে লুকিয়ে থাকা একটি মহাবিপদ। তার মতে, শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ হলেই তাইওয়ানের জনগণের সব ধরনের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের জনগনের যে দৃঢ় সংকল্প, তীব্র ইচ্ছা ও সামর্থ্য রয়েছে তাকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। মাতৃভূমির পূনরেত্রীকের যে ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা তা অবশ্যই পূরণ হবে এবং এটি হতেই হবে, বলেন তিনি।
তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া :
এদিকে, শি জিনপিংয়ের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই ভূখণ্ডের ভবিষ্যত এখানকার জনগণ নির্ধারণ করবে। চীনের ‘এক দেশ দুই নীতি’ মডেল প্রত্যাখান করে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, এটি পরিষ্কার যে এখানকার জনগণ এই মডেল গ্রহণ করছে না। এদিকে তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল আলাদা এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে ‘অনুপ্রবেশকারী উত্তেজনামূলক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে চীনকে ‘হয়রানি ও ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্‌বান জানায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র-তালেবান বৈঠকে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়ে আলোচনা
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক ড. আবদুল কাদির আর নেই