চীনে এক শহরে দিনে ৫ লাখ করোনা আক্রান্ত

তথ্য আড়ালে নাম জড়াচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের

আজাদী ডেস্ক  | রবিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

চীনে করোনার উপরূপ বিএফ.এ সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। চীনের সরকারি তথ্যে কোভিডে সংক্রমণের পরিসংখ্যান সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করলেন, চীনের একটি শহর থেকেই প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। চীনের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার কিংডাও শহরে এক দিনে ৪ লাখ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যেভাবে সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে হাসপাতালগুলো রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্মশানগুলোতেও বাড়ছে ভিড়। একটি শহরে এক দিনের সংক্রমণই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চীনে কোভিডের ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই শহরে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ’ এবং ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে চীনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ মানুষের করোনা আক্রান্ত হবেন। আর সেই কারণেই সাধারণের প্রতি কড়া হয়েছিল প্রশাসন। চীনে কত মানুষ আক্রান্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে যদি এই পরিসংখ্যান সত্যি হয়, তা হলে সে দেশের প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে

করোনা আক্রান্ত। লন্ডনের এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামে বিশ্লেষক সংস্থার দাবি, জানুয়ারিতে চীনে ৩০ লাখেরও বেশি দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে। যা মার্চে বেড়ে ৪০ লাখে পৌঁছনোর আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে অতিমারির এই ভয়াবহতাকে খাটো করে দেখাতে বিদেশে অবস্থিত চীন কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলিকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে দক্ষিণপন্থীদের দাবি। বিদেশের মাটিতে চীন নিজেদের ভাষা, শিল্পকলা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যেই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলো গড়ে তোলে। তবে সমালোচকদের দাবি, শিক্ষাসংস্কৃতি প্রসারের আড়ালে চিন সরকারের প্রচারযন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি বিদেশের মাটিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হয়েও প্রচার চালায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলো। চীনের অতিমারি পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ার পরপর তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলোর বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ঋষি সুনক জানিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে ব্রিটেনের ৩০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটকে বন্ধ করে দেয়া হবে। শুধু ব্রিটেন নয়, আমেরিকা বা সুইডেনের মতো উন্নত দেশগুলোও এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের নিষিদ্ধ করল তালেবান
পরবর্তী নিবন্ধবিক্ষোভে জ্বলছে প্যারিস