চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রত্যাখ্যান করল তাইওয়ান

| শনিবার , ১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

তাইওয়ান চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি চায় না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অটুট রাখবে এবং আত্মরক্ষায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট একথা বলেন। চীন এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল, তারা তাইওয়ানকে শক্তি প্রয়োগ করে একীভূত করে নেওয়ার সম্ভাবনা কোনোভাবেই নাকচ করবে না। এরপরই তাইওয়ানের প্রেসিডন্ট চীনের এই চাপ প্রত্যাখ্যান করে এমন মন্তব্য করলেন। খবর বিডিনিউজের।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই কে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবেই দেখে চীন। শুক্রবার তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলের হুকো সামরিক ঘাঁটিতে লাই সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, শক্তিই প্রকৃত শান্তি আনতে পারে। আগ্রাসনকারীর দাবি মেনে নিয়ে সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করলে কখনও শান্তি আসবে না। তাই মর্যাদা ও দৃঢ়তার সঙ্গে আমাদের বর্তমান অবস্থা বজায় রাখতে হবে। দৃঢ়ভাবে একীকরণ বা আগ্রাসনর চেষ্টার বিরোধিতা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এক দেশ, দুই ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করি। কারণ, আমরা চিরকাল আমাদের মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখব।

চীনের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয় এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তাইওয়ানের কোনও প্রধান রাজনৈতিক দলই চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি সমর্থন করে না। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই বলেন, গণপ্রজাতন্ত্র চীন এবং প্রজাতন্ত্র চীন (তাইওয়ান) দুই রাষ্ট্র একে অপরের অধীন নয়। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা বা দখলে নেওয়া যাবে না। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে একমাত্র দেশের জনগণ।

সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিক জীবনধারা বজায় রাখা কোনও প্ররোচণা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ মানে শান্তিতে বিনিয়োগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তান, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত, জানাল তুরস্ক
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র-ভারত ১০ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা চুক্তি