আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নেতৃবৃন্দ বলেছেন– চিহ্নিত একটি মহল নৈরাজ্য, ভাঙচুর, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, মসজিদ–মাদরাসা দখল, অলি–আউলিয়াদের মাজার এবং মন্দির, প্যাগোডাসহ বিভিন্ন উপাসনালয় ভাঙ্গার মত গর্হিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। নেতৃবৃন্দ সিলেটে হযরত শাহ পরাণের (র.) মাজারে হামলা এবং গাউসিয়া কমিটি সমর্থিত চট্টগ্রাম মহসীন কলেজের একজন ছাত্রকে বেদম প্রহার, সিলেটে আহলে সুন্নাত কর্মী হত্যা এবং চন্দ্রঘোনা তৈয়বিয়া মাদরাসায় অতর্কিত হামলার মতো ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম লিয়াজু কমিটির উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বহদ্দারহাট চত্বরে হযরত শাহ পরাণের মাজারে হামলাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন মাজার ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম মহানগর লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক আল্লামা শাহ নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – লায়ন এম রফিক কোম্পানী, নাছির উদ্দীন মাহমুদ, এইচ, এম মুজিবুল হক শাকুর, মাওলানা গিয়াস উদ্দীন নেজামী, মাওলানা আবদুন্নবী আলকাদেরী, মাওলানা আবু নাছের মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, আলম রাজু, ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী। সভা পরিচালনা করেন– মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম ও মাওলানা দস্তগীর আলম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন– মাওলানা মুহাম্মদ সোহাইল উদ্দীন আনছারী, শেখ মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান, মাওলানা মুহাম্মদ জহির উদ্দীন তুহিন, মাওলানা আবুল কাশেম তাহেরী, অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ ইউসুফ কবির, রাসেদুল ইসলাম রাসেল, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা শফিউল করিম, মুহাম্মদ মারুফ রেজা, আলমগীর ইসলাম বঈদী, বদরুল হুদা তারেক, মোবারক হোসাইন ও ইব্রাহিম খলিল বাবুল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরবর্তী একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় বহদ্দারহাট চত্বরে এসে শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।