মালয়ী নিশিবক চিরসবুজ বনের বাসিন্দা। দুর্লভ হওয়ার কারণে এদের সচরাচর দেখা যায় না। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি অগভীর বনে প্রথমবারের মতো নিশিবক দেখা গেছে। বনের ঝোপের আড়ালে এরা সহজেই মিশে যেতে পারে। এর আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে নিশিবকের উপস্থিতির কথা জানা যায়। নিশিবককে ক্যামেরা বন্দি করা বেশ দুরুহ ব্যাপার। এরা খুব সতর্ক পাখি। বনের ভেতরে পাতা ঝরার শব্দ পেলেও তারা উড়ে যায়। তবে দুই দিনের চেষ্টায় পাখিটিকে বিরক্ত না করে ঝোপের আড়ালে থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
মালয়ী নিশিবক আকারে কানিবকের চেয়ে বড়। লম্বায় প্রায় ৫১ সেন্টিমিটার। তামাটে লাল দেহ। চঞ্চু কালচে। রয়েছে বিস্তৃতি লম্বা ঝুটি। মুখ ও ঘাড় লাল। গলা ও বুকে কালো লম্বা দাগ। চোখ হলুদ। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির বিশাল ঝুঁটি এবং মেটে দেহে কালো আঁইশের দাগ। এরা নির্জন স্থানে থাকতে পছন্দ করে। সাধারণত কেঁচো, ব্যাঙ, শামুক, কাঁকড়া খায় তবে কখনো কখনো মাছও খায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের চিরসবুজ বনে তাদের দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মিয়ানমার, চীন, তাইওয়ান এবং জাপানে এদের দেখা যায়।
খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা জানান, মালয়ী নিশিবক আমাদের দেশে দুর্লভ প্রজাতির পাখি। এদের সর্বত্র দেখা যায় না। চিরসবুজ বনে মাঝে মাঝে তাদের দেখা যায়।