বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ১৫তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা ঐক্যের কথা বলি কিন্তু ঐক্য কারা করবেন এবং কীভাবে করবেন সে ব্যাপারে কিছুই বলি না বা করি না। চিন্তা চেতনা মননে যদি ঐক্য থাকে তাহলে বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক স্তরের ৩ কোটি মানুষ প্রতিমাসে সরকারের আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। এ পর্যন্ত দেড় লাখ ভূমি ও গৃহহীন মানুষ ভূমি ও গৃহ পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছরের প্রথম দিন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই পাচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা যাদের তাদের মা–বাবা নিজের সন্তান হিসেবে স্বীকার করেন না তাদেরকে সরকার ভাতা দিচ্ছে। এমন নজীর বিশ্বের কোথাও নেই। তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবারও ক্ষমতায় আসার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন।
আ.জ.ম নাছির বলেন, আমাদের প্রত্যেককে ২টি কাজ করতে হবে। প্রথমটি হলো আত্মঘাতি বা অন্তর্ঘাত মূলক কর্মকান্ডগুলো পরিহার করতে হবে। দ্বিতীয়টি হালো বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নজীরবিহীন সাফল্যগুলো অর্জন করেছেন তা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া; কেন না বাঙালি বিস্তৃতিশীল জাতি এবং নিকট অতীতকেও ভুলে যায়।
সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার কারামুক্তির দিনটি তৃণমূল স্তরের অকুতোভয় নেতাকর্মীদের আত্মনিবেদন ও ত্যাগের বড় অর্জনে অভিষিক্ত। সেদিন আওয়ামী লীগের বেশ কজন বড় মাপের নেতা সামরিক বাহিনীর সমর্থন পুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের টোপ হজম করে রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে তাঁর মুক্তির প্রশ্নে অনীহা দেখালেও সংগঠনের তৃণমূলের বলিষ্ট ভূমিকার কারণেই তাঁকে মুক্তি দিতে মঈনুদ্দিন–ফখরুদ্দিন গং বাধ্য হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই দেখছি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। গ্রীক পুরাণের ফিনিঙ পাখির মতই আওয়ামী লীগ ছাইভস্ম থেকে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুর, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী, চন্দন ধর, নির্বাহী সদস্য গোলাম মো. চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমদ চৌধুরী, টিংকু বড়ুয়া প্রমুখ।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমাল আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। সভার শুরুতে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ।
আজ রোববার সকাল ১০টায় ১৯৭১ সালে কালুঘর স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠক ও চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম এ হান্নান এর মৃত্যুবার্ষিকীতে চৈতন্য গলিস্থ তাঁর কবরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হবে।











