চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানি মাস্টার্স টি–২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শনিবার দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চিটাগাং মাস্টার্স এবং নাইন্টিজ উইলোজ নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ করে। চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় চিটাগাং মাস্টার্স ৭ উইকেটে কুল ওয়ারিয়র্সকে পরাজিত করে। টসে জিতে কুল ওয়ারিয়র্স প্রথমে ব্যাট করে। ২০ ওভার খেলে তারা ৯ উইকেটে ১২৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে হাসান নূর সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ২৯ বল খেলে। এছাড়া ওপেনার মাহফুজুল হক ২৩ বল খেলে ২৮ রান করেন। চিটাগাং মাস্টার্সের শহীদুল্লাহ মিঠু ৩টি, মো. নাইম এবং মো. নাজমুল ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন পিপলু দে। জবাবে চিটাগাং মাস্টার্স ১৭ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলে নেয়। দলের সাবিবুল আজম ২৪ বল খেলে অপরাজিত ৪৫ রান করেন। ৬টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। এছাড়া এস এম আশফাক ১৯,মো. একরামুল হক ৩৮ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৩ রান। কুল ওয়ারিয়র্সের ফরহাদ হোসেন, ফজলুল বাশার রানা এবং আহমেদ রাজিব প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান। প্লেয়ার অব দি ম্যাচ হন চিটাগাং মাস্টার্সের শহীদুল্লাহ মিঠু।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় নাইন্টিজ উইলোজ ৫৪ রানে আগ্রাবাদ মাস্টার্সকে পরাজিত করে। টসে জিতে আগ্রাবাদ মাস্টার্স প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নাইন্টিজ উইলোজকে। ১৯ ওভার খেলে নাইন্টিজ উইলোজ ১৯৩ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে মোহাম্মদ নাজিমের ব্যাট থেকে। তিনি ৪০ বল খেলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া মাহমুদুল হাসান ২৫ বলে ৪১,মাহবুবুল করিম ১৭ বলে ২৯,মাসুদ পারভেজ ১৮ বলে ২২ এবং রাশেদুর রহমান ১৭ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৩ রান।
আগ্রাবাদ মাস্টার্সের মো. শাহিনুল ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান মশিউর রহমান ও আদনান তালুকদার।
জবাবে আগ্রাবাদ মাস্টার্স ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান তুলতে সমর্থ হয়। শুরুতেই তাদের তিন উইকেট চলে যায় মাত্র ৮ রান তুলে। পরের ব্যাটাররা পরিস্থিতি সামাল দিলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। দলের পক্ষে একরাম আনোয়ার ৪৪ বল খেলে অপরাজিত ৫২ রান তোলেন। ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। সুমন সাহা ২৮ বল খেলে ৪৫ রান করেন ৬টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে। অন্যদের মধ্যে কাজি সাইফুর ১৪, মাসুদ করিম ১১ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১০ রান। নাইন্টিজ উইলোজের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন পংকজ কান্তি,এএসএম তানভির এবং মাহমুদুল ইসলাম। প্লেয়ার অব দি ম্যাচ হন নাইন্টিজ উইলোজের মাহমুদুল ইসলাম।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার প্রদান করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং আম্পায়ার্স কমিটির মেম্বার জিএম হাসান এবং ম্যাচ রেফারি সুব্রত চৌধুরী।