চিটাগাং চেম্বারের সাথে যুক্তরাজ্যের পোর্টিকো প্রতিনিধিদলের মতবিনিময়

| সোমবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২২ at ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্যের পোর্টমাউথ প্রদেশের পোর্টিকো শিপিং লিমিটেডের তিন সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদলের সাথে চিটাগাং চেম্বারের মতবিনিময় ও সমঝোতা স্বাক্ষর গতকাল রোববার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সমঝোতা স্মারকে চিটাগাং চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং পোর্টিকো শিপিং লি.’র পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিফেন উইলিয়ামস এমবিই স্বাক্ষর করেন। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পোর্টিকো শিপিং লি.’র বিজনেস কনসালট্যান্ট মাহবুব নূর ম্যাবস ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ভেনেসা শেরি, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালক শাহেদ সরোয়ার, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লি’র এডভাইজর কনসালট্যান্ট ক্যাপ্টেন আমিরুল ইসলাম ও ট্রাস্টেড শিপিং লাইনের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদ আলম বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক এ কে এম আকতার হোসেন, সিএমএ সিজিএম’র ম্যানেজার অপারেশন মাসুদ সাদিকী ও চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। চেম্বার সভাপতি বলেন, কিছুদিন আগে ইতালির রাভেনা বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হয়েছে।

পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের সাথে রয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য। নিঃসন্দেহে ঐ অঞ্চলে কোন বন্দরের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল হলে অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। তাই যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ পোর্টিকা বন্দর যদি আমাদের জন্য সুবিধাজনক হয় তাহলে পোর্টিকা বন্দরের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের সরাসরি নৌ-কানেক্টিভিটি থাকলে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা উভয়ই লাভবান হবে। তাই পোর্টিকা বন্দরের সাথে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ আমাদের রপ্তানি ক্রেতা এবং শিপিং কোম্পানির জন্য লাভজনক কিনা তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার। এ পর্যালোচনার কাজে চিটাগাং চেম্বার থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন সহ-সভাপতি।

পোর্টিকো শিপিং’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিফেন উইলিয়ামস এমবিই বলেন, পোর্টসমাউথ হচ্ছে একটি বেসরকারি উন্মুক্ত বন্দর। এছাড়া এই বন্দরের রয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধা। যার মাধ্যমে পণ্য খালাস থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পণ্য ডেলিভারি সুবিধা দেয়া হয় যা অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী। তাই এইসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরাসরি জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের বাজারে পণ্য রপ্তানি করা যাবে এবং এই বন্দরটি ঐ অঞ্চলে বাংলাদেশের রপ্তানির একটি ট্রানশিপমেন্ট হাব হবে বলে জানান তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৃত্রিম পা সংযোজনের জন্য কলেজ শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান
পরবর্তী নিবন্ধএফসেট ডিবেট ক্লাব ইউএসটিসির ইন্টার-ভার্সিটি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপ