চিটাগাং চেম্বার তথা দেশের সকল চেম্বার ও এসোসিয়েশনের সদস্য ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ–সভাপতি এস এম নুরুল হক। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ দেশের সকল চেম্বার ও এসোসিয়েশনের সদস্য ফি ও নবায়ন ফি বহুগুণ বৃদ্ধি করে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনে চিটাগাং চেম্বারের অর্ডিনারি ও এসোসিয়েট সদস্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা যা আগে ছিল যথাক্রমে ১৬শ ও ৮শ টাকা। একই ভাবে উভয় ক্ষেত্রে নবায়ন ফি করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা যা আগে ছিল যথাক্রমে ৮শ টাকা ও ৪শ টাকা। ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে তিনি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয় যে, স্বৈরাচার আমলে তৃণমূলের ব্যবসায়ীদের চিটাগাং চেম্বারের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করা হতো। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে চেম্বারের তৎকালীন বোর্ড অব ডাইরেক্টরস পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানিয়েছি। প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের জন্য চিটাগাং চেম্বারের সদস্য পদ সহজলভ্য করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে সদস্য ফি বৃদ্ধিতে এই চেম্বারসহ দেশের সকল চেম্বার ও এসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত নিরুৎসাহিত হবে। এই ফি বৃদ্ধি অতীতে সুবিধাভোগীদের ষড়যন্ত্র কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি চিটাগাং চেম্বারের আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ভুয়া ভোটার বাতিলে চলমান শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখা, চেম্বারের সদস্য ফি ও নবায়ন ফি আগের মত নির্ধারণ করা, সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীদের জন্য সদস্য পদ সহজলভ্য করা এবং চেম্বারের মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়নকৃত সকল সদস্যকে নির্বাচনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব এবং বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক বরাবর জরুরি পত্র পাঠানো হয়েছে।