জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে একাগ্র সাধনা প্রয়োজন। সাধনার মাধ্যমে যে কোন কিছুর পেছনে লেগে থাকলেই যে কোন পুরস্কার আপনার হাতে ধরা দেবে। গত ২৬ মার্চ রাতে চিটাগাং ক্লাব অডিটরিয়ামে আয়োজিত সপ্তম সিসিএল ইন্ডিপেনডেন্স কাপ স্পোর্টস কর্র্র্ার্নিভ্যাল এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদ্য একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এরকম একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করায় ক্লাব নির্বাহী কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একুশে পদকের মত কোন পদকই আমরা পেতামনা, যদি না জন্ম হতো যুগ-যুগান্তরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। যদি না জন্ম হতো বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন দেশ। সিসিএল ইন্ডিপেনডেন্স কাপ স্পোার্টস কর্র্ার্নিভ্যাল এর ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, দাবা, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, স্নুকার বিলিয়ার্ড এন্ড পুল সহ ওয়াক ওয়ে ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় চিটাগাং ক্লাব লিঃ এর সাবেক চেয়ারম্যান একুশে পদকে ভূষিত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সংবর্ধনা সভায় । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টুর্নামেন্টের স্পন্সর ইন্ডিপেনডেন্ড অ্যাপারেলস লিঃ এর এমডি ও চিটাগাং ক্লাব লিঃ এর সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব। তিনি সংবর্ধিত অতিথিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান ও শাল পরিয়ে দেন । প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে চিটাগাং ক্লাবে জাকজমকপূর্ণভাবে স্পোর্টস কার্নিভ্যালটির জন্য তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিগত সাত বছর ধরে এই উদ্যোগ সফলতায় সাবেক সিসিএল ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক (মঞ্জু) এবং সাবেক সিসিএল মেম্বার ইনচার্জ নুর উদ্দিন জাবেদকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে চীফ হোস্ট ছিলেন চিটাগাং ক্লাব ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর)।
তিনি স্পোর্টস কার্নিভ্যালের পৃষ্ঠপোষকতা করায় ইন্ডিপেনডেন্ড অ্যাপারেলস লিঃকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ক্লাাব নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে জাবেদ হাসেম (নান্নু), ডাঃ ফাহিম হাসান রেজা, অ্যাডভোকেট সাবরিনা চৌধুরী, মোঃ আজিজুল হাকিম, মাহাবুবুল কবির খান (শান্তুনু), সালাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জাহিদ সুলতান (টিপু), সৈয়দ আরশাদুল হক, এস এম শফিউল আজম ছাড়াও বিভিন্ন খেলায় পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক খেলোয়াড়সহ ক্লাব মেম্বার উপস্থিত ছিলেন । ক্লাব মেম্বার মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী (হুমায়ুন) এর পরিচালনায় সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
