চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (পিএলসি) উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব কমোডিটি এক্সচেঞ্জ – বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ’ বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মালটিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় (অর্থ বিভাগ ও এফআইডি), এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসই–র পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, প্রফেসর ডক্টর মো. সাইফুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। কর্মশালায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য রেগুলেটরি, বিজনেস এবং টেকনোলজি বিষয়ক উপস্থাপনা করেন সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয় এবং আশা প্রকাশ করা হয় যে, ন্যাশনাল পলিসির মাধ্যমে দ্রুত গতিতে কাজটি শেষ করার জন্য সকল মন্ত্রণালয় এবং রেগুলটরি প্রতিষ্ঠানের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। আরও আশা করা হয় যে, কমোডিটি এঙচেঞ্জ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের উপযোগী কমোডিটি প্রোডাক্টের লেনদেন করা সম্ভব হবে।
সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, এক্সচেঞ্জ স্থাপনের শুরুর জন্য, যদিও প্রস্তাবনাতে ৬টি প্রোডাক্টের ব্যাপারে বলা হয়েছে তবে প্রথম ধাপে দুই একটি প্রোডাক্টের মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শুরু হলে, তা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মূল বাজার কাঠামোর সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিএসই কর্তৃক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
কমিশনার ফারজানা লালারুখ তার বক্তব্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার সাহসী পদক্ষেপের জন্য সিএসইর প্রশংসা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য আহ্বান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।