‘বন্ধু, কী খবর বল? কতদিন দেখা হয়নি’-জনপ্রিয় গায়ক কবির সুমনের গাওয়া এই গানটির মতোই ক্যাম্পাসে ফিরতে উদগ্রীব তারুণ্যমুখর বিদ্যাপীঠ চিটাগং ইন্ডিপেন্ডন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) শিক্ষার্থীরা।
২০২০ সালের ১৮ মার্চের পর করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধ হয়ে যায় মুখ দেখাদেখি কিংবা বন্ধুত্বের গল্পগুলো ভাগাভাগি করে নেয়ার সময়টুকু।
বাড়িতে বসেই তাই ঘরবন্দী হয়ে পড়েন সবাই। ভরসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। কিন্তু তাতে কি আর মন ভরে! আড্ডা জমে না আগের মতো। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে নেই কোনো হইচই। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চায় না ক্যালেন্ডারের পাতায়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মণির ঘোষণায় এবার দারুণ উচ্ছ্বসিত সিআইইউর আড্ডারুরা। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২৪ মে থেকে আবারও ক্লাস শুরু হবে ইউনিভার্সিটিগুলোতে।
এই খবরে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতর। ফেসবুকে তাই সিআইইউর মেধাবীরা লিখছেন মনপ্রাণ উজাড় করে। অনেকে অ্যাডমিশন অফিসে ফোন করে জানতে চাচ্ছেন ক্লাসরুমগুলোর কী অবস্থা!
বর্তমানে সিআইইউতে বিজনেস স্কুল, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস ও স্কুল অব ল প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছে একাধিক সাবজেক্ট।
করোনার ভেতর সরকারের নির্দেশে সব ধরণের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে এখানে। পাশাপাশি উপাচার্য দপ্তর ও প্রশাসনিক শাখার কার্যক্রম চলছে পুরোদমে।
সিআইইউর ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী চারু তঞ্চগ্যা বলেন, ক্যাম্পাস খুলে দেবে খবরটি শুনে অনকে ভালো লাগছে। আশা করছি গা ঝাড়া দিয়ে উঠবো পুরোদমে (হা..হা..হাসি)।
আকরাম হোসেন নামের আইন বিভাগের একজন ছাত্র বলেন, জাকির স্যার, আকতার স্যারদের অনেক মিস করেছি। করোনা জীবনকে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে।
বিজনেস স্কুলের ছাত্র মাজিদ বলেন, ঘরে বসে ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্টের কোনো স্বাদ নেই। পানসে! ক্যাম্পাস ফিরতে পারবো এটাতেই আনন্দ।
ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ছাত্রী আবিদা সুলতানা বলেন, প্রায় ৩৬৫ দিন হতে চললো। ক্লাসে ফিরলে হয়তো আবারও আসিফ স্যারের বকা শুনতে হবে। কিন্তু সেই বকাতে মিশে আছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ভালো করার অনুপ্রেরণা।
ক্যাম্পাস খুললেও করোনার বিষয়ে সতর্কতা মেনে কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানিয়ে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করার বয়স তারুণ্য। এসব শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিভায়, উদ্যমে আর কর্মযজ্ঞে বদলে আগামি পৃথিবী এমনটা চাওয়া আমার।












