চিকিৎসার কোনো ডিগ্রি অর্জন না করে নিয়মিত দিচ্ছেন চিকিৎসা। এমন প্রতারণার অভিযোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার এলাকায় মোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তার চেম্বারটি সিলগালা করে দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন অভিযান চালিয়ে এই দণ্ড দেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আলম রুবেল, চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়মনীতি ছাড়া চিকিৎসার প্র্যাকটিস করছে ও রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এমন অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযুক্ত মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর আগেও এই ধরনের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। এসময় তাকে অর্থদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন মর্মে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল। এরপর কিছুদিন চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে ফের একইভাবে চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন তিনি। তবে এবার এসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন মর্মে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম রুবেল বলেন, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী চিকিৎসক কিন্তু ডাক্তার লিখছেন। এমবিবিএস, এমডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন না করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে ভুয়া কবিরাজ– এমন নানা অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। এই ধরনের একটি অভিযোগ পেয়ে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারের একটি চেম্বারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযুক্ত মোরশেদ আলম স্বীকার করেছেন উনার বাংলাদেশ মেডিকেল কাউন্সিলের কোনো স্বীকৃতি নেই, চিকিৎসার ডিগ্রি নেই। কিন্তু তিনি এসব ডিগ্রি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন বলেন, মোরশেদ আলমকে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে ঝুঁকিতে ফেলছে, এমন অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।