চিকিৎসাসেবা পেতে বাংলাদেশিদের জন্য চীনের কুনমিং প্রদেশ ভারতের বিকল্প হতে পারে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পর গতকাল রোববার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য বিকল্প হতে পারে কুনমিং। আমরা জানি, ভারতে চিকিৎসার জন্য যারা যেতেন, তাদের ভিসা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু সমস্যা হচ্ছে, কাজেই একটা বিকল্প উৎস থাকলে সুবিধা হয়। সেই হিসেবে কুনমিংকে চিন্তা করেছিলাম আমরা।
প্রথম দ্বিপক্ষীয় চীন সফরের উদ্দেশে গেল ২০ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়েন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর আমন্ত্রণে ওই সফরে যান তিনি। দেশে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপদেষ্টা বলেন, কুনমিংয়ের যে ডেপুটি গভর্নর, উনি এসেছিলেন। ওখানেও (চীন) কথাবার্তা হয়েছে। তারা এই ব্যাপারে দুই–তিনটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে। আমি বলেছি, ভিসা যেন সহজ করা হয়। ভিসা ফি যেন কমিয়ে দেওয়া হয়, যেন আমাদের রোগীরা ওখানে গিয়ে সহজে চিকিৎসা নিতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
গেল ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে রেখেছে ভারত সরকার। এতে নিয়মিত ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশে একটি হাসপাতাল নির্মাণে রাজি হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একটি বড় পাবলিক হসপিটাল তারা (চীন) আমাদের করে দিতে রাজি হয়েছে। সেটার স্থান নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আমি বলেছি, পূর্বাচলে আমাদের হাতে সুন্দর জায়গা আছে। কাজেই আমরা তাদের জায়গা দিয়ে দেব। আমি খুব শিগগিরই পূর্বাচলের মালিক যে মন্ত্রণালয়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এটা আইডেন্টিফাই করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করার আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি আহ্বান জানিয়েছি, আরেকটি টারশিয়ারি হাসপাতাল, সেটা পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে হতে পারে। এমনকি তাদের কোনো প্রাইভেট পার্টিও হতে পারে। চীন সফরের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সব কিছু, সম্পূর্ণ রিলেশনের ব্যাপারেই কথা হয়েছে। ব্যবসা–বাণিজ্য বলুন, প্রকল্প–সংক্রান্ত বলুন, সব বিষয়ে কথা হয়েছে।