চা শ্রমিকদের ভালো-মন্দ দেখতে হবে

মালিকদের প্রধানমন্ত্রী

| রবিবার , ২৮ আগস্ট, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

শ্রমিকদের ভালো মন্দ দেখার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে, তাদের দিক তো সবাইকে দেখতে হবে। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নির্ধারণ বিষয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে গণভবনে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে চা বাগান মালিকদের পক্ষে ১৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চা বাগানের শ্রমিকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে। সেখান থেকে আপনারা মালিকরাও উপার্জন করেন। তাই তাদের ভালো-মন্দের দেখা সকলের দায়িত্ব। করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত, এতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দিকে তো আমাদের একটু দেখতে হবে। তিনি বলেন, চা শিল্প আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় আমাদের দেশের বড় অর্থকরী ফসল ছিল, যেটা রপ্তানি করে আমরা অর্থ উপার্জন করতাম। দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় চায়ের চাহিদা দেশেও অনেক বেড়ে গেছে।
চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। নতুন নতুন চা বাগানও করেছি। পঞ্চগড়ে চা বাগান ছিল না। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেই চা বাগানটা আস্তে আস্তে পঞ্চগড় থেকে এখন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত এসে গেছে। লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের দিকেও কেউ কেউ ছোট ছোট করে করছে। আগে শুধু চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগেই চা বাগান ছিল।
টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এই শ্রমিকদের কিন্তু নাগরিকত্ব ছিল না। ব্রিটিশরা বিভিন্ন স্থান থেকে এনে… মোটামুটি দাসত্বগিরিই করতে হতো তাদের। তিনিই (বঙ্গবন্ধু) যখন চেয়ারম্যান হলেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হল। কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। সেই সূত্রে তাদের সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ ছিল। তারা এই কথাটা সব সময় মনে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমার কাছে যে প্রস্তাব এসেছিল তার অনেকগুলো কাজ আমি করে দিয়েছিলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫০ টাকা বাড়িয়ে মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
পরবর্তী নিবন্ধতিন বিবেচনায় ১৫০ আসনে ইভিএমের সিদ্ধান্ত