চাহিদা কমলে মানুষের জীবনযাপনে ফিরে আসতে পারে স্বস্তি

মিতা দাশ | রবিবার , ২৪ জুলাই, ২০২২ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

নদী যখন নির্দিষ্ট পথে চলতে গিয়ে কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন নদী অন্য একটি পথ তৈরি করে নেয়। তেমনি মানুষ যখন তার নির্দিষ্ট পথে সৎ ভাবে থেকে রোজগার করে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় না, তখন সে অন্য পথে রোজগার করার কথা ভাবে। এই ভাবনা থেকে মানুষ আস্তে আস্তে তার সততা থেকে সরে গিয়ে অসৎ উপায়েও অর্থ আয়ের নেশায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর দিন দিন আরো চাহিদা বাড়তে থাকে। তখন আর কখনো সৎ পথে ফিরে আসা হয় না। তলিয়ে যায় অর্থের মোহে। চাহিদা এমন এক বিষয় যা শুধু বাড়তে থাকে। একে কমানো যায় না। আর অতিরিক্ত চাহিদার কারণেই এত অনৈতিকতা ঘটে সব ক্ষেত্রে। সবাই কিন্তু নিজের সন্তান ভালো হোক, সৎ, বিনয়ী হোক, আদর্শবান হোক এটাই কামনা করেন। কিন্তু নিজে আগে সৎ হন না। এছাড়াও সবাই বলে আগের দিনগুলো খুব ভালো ছিলো। তখন সবাই সবার সাথে কত ভালো ব্যবহার করতো, বড়দের কত শ্রদ্ধা করতো এখন কিছুই নেই। আসলে এটার জন্য কি মানুষরাই দায়ী নয়? আগে তো মানুষের গাড়ি, বাড়ি, অর্থের এত লোভ ছিলো না, এখন তো কে কার থেকে কত বেশি টাকা রোজগার করতে পারে সেই চেষ্টায় নিয়োজিত, তাহলে সন্তানদের নৈতিকতা, ভালো ব্যবহার, বড়দের সম্মান করা শেখানোর সময় কই? মানুষের চাহিদা যদি হতো কম, তাহলে অনেক অনৈতিক কাজ কমে যেতো সমাজ হতো সুন্দর, আর সন্তানরা শিখতো ভালো গুণাবলী। পরিবার পরিজন থেকে শিখতো আদব কায়দা। সততা থাকতো, বিনয় থাকতো থাকতো বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা। আইফোন নেয়ার জন্য থাকতো না কোনো বায়না, কোনো ঝগড়া। আগের দিনের মতো মানুষ যদি আবার নির্লোভ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়, তবেই আসতে পারে পরিবর্তন। সুন্দর সমাজের প্রত্যাশা হোক সকলের, এটাই কাম্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষের সেবায় নিয়োজিত প্রকৃতি
পরবর্তী নিবন্ধজননেতা ইসহাক মিয়া : বাবাকে যেভাবে দেখেছি