চট্টগ্রামে চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। চট্টগ্রামে এখন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ১১৮০ থেকে ১২শ’ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৫০০ মেগাওয়াটেরও বেশি। কিন্তু তারপরও চট্টগ্রামে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এই রমজানে ইফতার ও সেহেরির সময় ঢাকায় কোথাও লোডশেডিং নেই। ঢাকায় লোডশেডিং করা হচ্ছে না। অথচ চট্টগ্রামে লোডশেডিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো থেকে চট্টগ্রামের চাহিদার অতিরিক্ত ৩৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তারপরও গতকাল চট্টগ্রামে ১৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল বলে পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে জানা গেছে।
পিডিবি চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) এর দপ্তর থেকে প্রতিদিনের উৎপাদন তালিকায় দেখা গেছে, গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে ১৬৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। আর এদিন চট্টগ্রামের চাহিদা ছিল মাত্র ১১০৮ মেগাওয়াট। রমজানে চট্টগ্রামের চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তারপরও চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে রেখে সাড়ে ৪শ’ থেকে প্রায় ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামে আজকে (গতকাল শনিবার) ১৫০ মেগাওয়াটের মত লোডশেডিং ছিল। ইফতারের আগে আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ঢাকায় ফোন করে চাহিদা পূরণ করেছেন। এখন রমজান মাস, ইফতার–সেহেরির সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখন আমাদের চট্টগ্রামে উৎপাদন ভালো হচ্ছে। আজকে (গতকাল শনিবার) ১৫১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। চট্টগ্রামের চাহিদা ছিল ১১৮০ মেগাওয়াট। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি।
পিডিবি চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) এর দপ্তর থেকে প্রতিদিনের উৎপাদন তালিকায় দেখা গেছে, এস আলম গ্রুপের বাঁশখালীতে অবস্থিত এসএস পাওয়ার প্লান্ট থেকে প্রতিদিন ৩৮৫ থেকে ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১৪ মার্চ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। মাদারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬৩০ থেকে সাড়ে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১৪ মার্চ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বড়ো সাপোর্ট দিচ্ছে। অপরদিকে কাপ্তাই লেকের পানির স্তর একেবারে নিচে নেমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ২ নম্বর ইউনিটটি চালু রয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।