চালের দাম বেঁধে দিল সরকার

| বুধবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চাশ কেজি ওজনের ভালো মানের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম মিল গেটে ২৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চালের দাম ২১৫০২২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক হয়। পরে আবারও কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের এই দাম নির্ধারণ করে দেন।

তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) সকাল থেকে এই দাম কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ১০ দিনের মধ্যে সরু চাল আমদানি করা হবে। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ক্রমেই আগামী এক মাস চালের দাম বাড়ানো যাবে না বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করেন সাধন মজুমদার, পারিবারিকভাবে যিনি নিজেও চালকলের মালিক। খবর বিডিনিউজের।

অর্ধশতাধিক চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রথম বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগে বাজারে চালের যে দাম ছিল, সেই দামে পুরো অক্টোবর মাস এই খাদ্যশস্য বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরের বৈঠকের পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে চালের দাম নির্ধারণ করে দেন তিনি। সভায় চাল ব্যবসায়ীরা খাদ্যমন্ত্রীকে জানান, ১৫ দিন আগে তারা চালকলগুলো থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৫৫৫ টাকায় কিনেছেন। কিন্তু মিল মালিকরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে মিল গেটে চাল বিক্রির তথ্যউপাত্ত মন্ত্রীকে দেন।

দ্বিতীয় দফার সভার পর চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ দিন আগের দামে ফিরে আসতে হবে। পাইকারি বাজারে ৫১ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে মিনিকেট চাল সর্বোচ্চ ২৫৭৫ টাকা বস্তা। আর আটাশ বা মাঝারি মানের চাল প্রতি বস্তা ২১৫০ থেকে ২২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোটা চাল পর্যাপ্ত মজুদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ এখন মোটা চাল খায় না। যারা খায় তাদের জন্য ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দিচ্ছি। আড়তদার ও খুচরা বাজারের দামটা কৃষি বিপণন ও ভোক্তা অধিকার নির্ধারণ করে দেবে। প্রতিদিন সকালে তারা এটা নির্ধারণ করে থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বল্পমূল্যে আবার স্বাস্থ্যসেবা পাবে নগরবাসী
পরবর্তী নিবন্ধনগরী যেন আর না ডুবে