আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে চালু হল বাংলাদেশের নিজস্ব কার্ড টাকা–পে। টাকা–পে হল এক ধরনের ডেবিট কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যম প্রচলিত ভিসা বা মাস্টার কার্ডের মতই লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশের ভেতরে বিভিন্ন ব্যাংক এই কার্ড ইস্যু করতে পারবে, নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে এ কার্ডের উদ্বোধন করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম লেনদেন করা হয় সোনালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। টাকা–পে কার্ডের মত ভারতের রয়েছে ‘রুপি কার্ড’। একইভাবে শ্রীলঙ্কার লঙ্কা–পে, পাকিস্তানের পাক–পে এবং সৌদি আরবের মাদা–কার্ড নামে নিজস্ব কার্ড রয়েছে। এবার টাকা–পে চালুর মধ্য দিয়ে সেই তালিকায় যুক্ত হল বাংলাদেশও। ডেবিট কার্ড দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে ক্রেডিট ও আন্তর্জাতিক কার্ড তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ডিসেম্বরে টাকা–পে’ কার্ডের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ডুয়ল কারেন্সি বা দ্বৈত মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে। তখন বাংলাদেশিরা ভারতে গেলে টাকা–পে’ কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রা রুপিও ব্যবহার করতে পারবেন। আলাদাভাবে বিদেশি মুদ্রা, ডলার বা রুপি বহনের প্রয়োজন পড়বে না। বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রতিবেশী দেশ ভারতেই সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা খরচ করছেন।










