অসাবধানতাবশতঃ পায়ের সাথে পা লাগাটাই ছিল মহা অপরাধ! দেরি নেই, সাত/আট জন মিলে মারধর শুরু করে দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। প্রতিবাদে অ্যাম্বুল্যান্স চলাচল বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম জেলা অ্যাম্বুল্যান্স মালিক সমিতি। গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) সামনে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার ঘটনার ব্যাপারে
কিছু জানাতে পারেননি। অ্যাম্বুল্যান্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে আটকে রাখার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
জানা গেছে, ফেয়ার হেলথ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ক্যান্টিনে বসে খাওয়া দাওয়া করছিল কয়েকজন যুবক। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের পায়ের সঙ্গে পা লাগে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে যুবকগণ ওই দুই চালককে মারধর করে। পরে প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ এসে তা সরিয়ে দেয়। পরে বিচার চেয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় গেলে অ্যাম্বুল্যান্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ চৌধুরীকে আটকে রাখে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা অ্যাম্বুল্যান্স মালিক সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ বলেন, ফেয়ার হেলথের ক্যান্টিনে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে গেলে মারধরের শিকার হয় আমাদের দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ বিষয়টি সমাধান না করে উল্টো আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে আটকে রাখে। তিনি বলেন, আমরা সব সময় বিভিন্ন আপদে বিপদে সাহায্য সহযোগিতা করি। অথচ আমাদের ওপর হামলা হলেও তা সমাধান না করে উল্টো আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
